যশোর প্রতিনিধি : যশোরের ঝিকরগাছায় পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু কণ্যা সোহানাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার আপন ফুফাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়নকে (১৯) গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। গ্রেফতার হওয়া নয়ন উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের মো. ইলিয়াস রহমানের ছেলে। সে মনিরামপুর উপজেলার মাছনা কাওমী মাদ্রাসার ছাত্র।
উপজেলার হাড়িয়া গ্রামে নিহত শিশু সোহানা আক্তার (১১) স্থানীয় বায়সা এবতেদায়ী দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। ঈদুল আযহার দিন (৭ জুন) সকালে সে তার ছোট ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। একই দিন দুপুরে পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ লাগায় এমনকি ফেসবুকে ষ্টাটাস দেয়া হয়। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরদিন ৮ জুন সকাল ৬টায় শিশুটির মৃতদেহ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ভেসে থাকতে দেখা যায়।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শিশুটির ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ও মুখে রক্ত দেখা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে ঝিকরগাছা থানায় এজাহার দায়ের করেন। এরপর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান নির্দেশনা দিলে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। পরে ১১ জুন সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে হাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সন্দেহভাজন শিশুটির আপন ফুফাতো ভাই নয়নকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানায়, ঘটনার দিন তার মামাতো ভাইকে মামা বাড়ি দিয়ে ফিরে এসে দেখে তার ছোট বোন তন্নী ঘুমাচ্ছে আর মামাতো বোন সোহানা বাইরে দোলনায় খেলছে। একপর্যায়ে তার মধ্যে বিকৃত যৌন বাসনা জাগে তখন সে সোহানাকে ঘরে নিয়ে গলা চেপে ধরে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শ্বাসরোধে সোহানার মৃত্যু হলে তার লাশ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘটনা আড়াল করতে নানা কৌশল নেয়।
নয়নকে ১২ জুন আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) আবু সাঈদ।
Leave a Reply