রায়হান হোসেন,চৌগাছাঃ
যশোরের চৌগাছায় বাসুদেব বিশ্বাস (৩৯) নামের এক জেলেকে বেধড়ক মারপিট করে তিন লক্ষ টাকা ছিনতাই এর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ভুক্তভোগীর স্ত্রী অভিযুক্ত নূর আলমের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে।
আহত বাসুদেব বিশ্বাস হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেড়গোবিন্দপুর গ্রামের হালদারপাড়ার মৃত তারাপদ হালদারের ছেলে ও পেশায় একজন জেলে। এবং অভিযুক্ত নূর আলম (৪০) একই গ্রামের আব্দুল ওহাব এর ছেলে।
লিখিত অভিযোগে বাসুদেব বিশ্বাসের স্ত্রী কবিতা রানী বলেন, “আমার স্বামী বেড়গোবিন্দপুর বাওড়ে মাছ ধরার ৫ নং দলের দলপতি। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উক্ত নুর আলম বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রদান করে আসছে আমার স্বামীকে। সম্প্রতি বাওড়ে মাছ ফিশিং কালীন সময়ে সে আমার স্বামীর নিকট ২০/৩০ টি বড় সাইজের মাছ দাবি করে। মাছ দিতে অস্বীকার করার ক্ষোভ প্রকাশের অংশ হিসেবে আমার স্বামীকে আক্রমন করা হয়েছে।” কবিতা রানী আরও বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বাসুদেব তার ছোট ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে আসলে চৌগাছা থানাধীন বেড়গোবিন্দপুর গ্রামাস্থ লিচুতলা মোড়ে পৌছালে নূর আলম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে অভিযুক্ত নুর আলম আহত বাসুদেব বিশ্বাস এর কাছে বিয়ের বাজারের নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।
আহত বাসুদেব বিশ্বাস বলেন, “এই নুর আলমকে বাওড়ের মাছ ও বছরে নিয়মিত চাঁদা দিতে হয়। সম্প্রতি মাছ ও চাঁদা না দেওয়ায় আমার উপর আজ আক্রমন চালায় সে।” তিনি জানান, ভাইয়ের বিয়ের কেনাকাটার জন্য ছেলেকে নিয়ে ইজিবাইকযোগে বাজারে যাওয়ার সময় নূর আলম তাদেরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারার পর কাছে থাকা ছোট ভাইয়ের বিয়ের বাজারের জন্য নগদ তিন লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।
আহত বাসুদেবের একাধিক সহকর্মীরা জানান, শেয়ারে থেকে কোনো কাজ না করলেও নিয়মিত প্রতি বছর নূর আলমকে চাঁদা দিতে হয়। এর আগেও বাসুদেবকে চাদার টাকার জন্য মারা হলেও নুর আলমের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ অভিযোগ করেনি বলে সকলে জানান।
অভিযোগ তদন্তকারী চৌগাছা থানার এসআই বাচ্চু শেখ জানান, বাসুদেবকে মারপিটের ঘটনা সত্য। এবং এই নূর আলম ওই এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তবে নূর আলম বাসুদেবকে মারলেও টাকা পয়সা ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।