ছাকিন হোসেন: শুণতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘটনাটি এমনই৷ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে থার্মোমিটার নেই৷ সোমবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে পারভেজ (১২) নামে এক শিশুকে ভর্তি করা হলে নার্স জানান থার্মোমিটার নেই। রোগীদের কিনে আনতে হবে৷ বিষয়টি ডাক্তার রুমে জানানো হলে সেখান থেকে বলা হয় নার্সদের কাছে থার্মোমিটার আছে৷ ফের নার্সের কাছে গেলে নার্স জানান কাঁচের একটি থার্মোমিটার ছিলো পড়ে ভেঙ্গে গেছে৷ এখন এটা রোগী কিনে আনলে তারপর তিনি রোগী দেখবেন৷ এদিকে জ্বরে পারভেজের অবস্থা খারাপ দেখে এক ভর্তি রোগী তার ব্যাগে থাকা থার্মোমিটার বের করে দেন৷ জ্বর মেপে পাওয়া যায় ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। এক থার্মোমিটার জটিলতায় এর মধ্যে সময় পার হয়েছে আধা ঘন্টা।
আরও পড়ুন :
পরে মধ্যরাতে রোগির মামা বাইরে থেকে থার্মোমিটার কিনে রেখেছেন ভাগ্নের জ্বর মাপার জন্য। এখানেই শেষ নয় নার্সদের ব্যবহার আর কর্তব্যরত ইন্টার্নের ঝাঁড়িতে রোগী তার সমস্যা জানাতেই যেন ভুলে যায়। শিশু ওয়ার্ডে শিশুদের সাথে শিশুসুলভ আচরণ করা হয়না বলেও অভিযোগ করেছেন পারভেজের মা সাবিনা খাতুন।
তিনি জানান, একটি ৩০ টাকার থার্মোমিটার যশোরের মত একটি শহরের বিশাল এই হাসপাতালে নেই৷ শিশুদের বিষয়টি সব সময় স্পর্শকাতর কিন্তু একটি থার্মোমিটার শিশু ওয়ার্ডে নেই, নেই শিশুসুলভ আচরণ। সোমবার রাতে ভর্তির পর মঙ্গলবার সকালে বেড দেয়া হয়েছে পারভেজকে, কিন্তু নোংরা বেডশিটটি পাল্টানোর লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। চরম অব্যবস্থাপনা ও উদাসিনতা মধ্যে দিয়ে চলছে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, বিষয়টি বিভাগীয় প্রধান কে জানাতে পারতেন, এতোবড় হাসপাতাল মাত্র একটি থার্মোমিটারে চলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভেঙ্গে গেলে কি করবেন৷ তবে বিষয়টি তিনি দেখভালের কোন আশ্বাস প্রদান করেননি৷