নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শেষ বলের লড়াইয়ে রোমাঞ্চকর জয় পেল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। সোমবারের আইপিএল ম্যাচে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর ২১৩ রানের লক্ষ্য ১ উইকেট হাতে রেখেই ছুঁয়ে ফেলেছে তারা। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে দু’দলের লড়াইয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে, শেষ মুহূর্ত পর্যন্তও কেউ কথা বলেনি কাউকে ছেড়ে।
২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য কাঁধে, এর মাঝে প্রথম ওভারেই কাইল মায়ার্স ফেরেন ০ রানে। চতুর্থ ওভারে হারায় জায়ান্টরা হারায় জোড়া উইকেট। দীপক হোডা ১০ বলে ৯ রান করলেও, রানের খাতা খুলতে পারেননি ক্রুনাল পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩ রান সংগ্রহ করা লক্ষ্ণৌ চর্তুথ উইকেট হারায় ১১তম ওভারে, তবে ততক্ষণে ৯৯ রান যোগ হয়েছে স্কোরবোর্ডে।
৪১ বলে ৭৬ রানের এই জুটি ভাঙে মার্কাস স্টইনিস মাত্র ৩০ বলে ৬৫ রান করে আউট হলে। অর্থাৎ একা হাতেই অধিকাংশ তুলেছেন স্টইনিস। তিনি বেঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন রাহুল ছিলেন অন্যপ্রান্তে দর্শক হয়ে। তিন বল পর যখন তিনিও আউট হন, নামের পাশে তখন ২০ বলে ১৮ রান! প্রায় ১১ ওভার মাঠে থেকেও কিছু করতে পারেননি তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান, বলা যায় জয়ের পথের বাকি পথটা তিনি একাই সামলান। ব্যাঙ্গালুরুর বোলাররা তার সামনে ছিল যেন অসহায়। মাত্র ১৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে পুরান। এবারের আইপিএলে যা সবচেয়ে দ্রুততম।
যদিও লক্ষ্ণৌকে জিতিয়ে ফিরতে পারেননি তিনি। ৭ ছক্কা আর ৪ চারে ১৯ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন।
আয়ুস বাদনি ২৪ বলে ৩০ রান করে হিট আউট হলে লক্ষ্ণৌয়ের জয় পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়। এমনক শেষদিকে মার্ক উড (১) আর জয়দেব উনাদকাটকে (৯) ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন হার্শাল। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১ রান, সেই বলে বাই রান নিয়ে লক্ষ্ণৌকে জেতান আভেষ খান। ১ উইকেটের জয় পায় জায়ান্টরা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থকে বেঙ্গালুরু। স্বরূপে দেখা দেন বিরাট কোহলি, রীতিমতো তুলোধোনা করেছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। ডু প্লেসির সাথে উদ্বোধনী জুটিতেই যোগ করেন ১১.৩ ওভারে ৯৬ রান। ৪৪ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন কোহলি।
এরপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে রান বাড়িয়েছেন ডু প্লেসি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে দুজনে চড়াও হয়েছিলেন রবি বিষ্ণইয়ের ওপর। তিন ছক্কায় সেই ওভারে তারা নেন ২২ রান। সব মিলিয়ে দুজনের যোগলবন্দীতে ৫৩ বলে ১১৫ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে৷
২৯ বলে ৫৯ রান করে শেষ ওভারে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। তবে ৬৬ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডু প্লেসিস। সুবাদে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রানের সংগ্রহ পায় ব্যাঙ্গালুরু। যদিও তা শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না।