নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের পরদিন ঘড়ির কাটায় সকাল ১০টা বাজার সাথে সাথে হামিদপুর আল-হেরা কলেজ প্রাঙ্গণে একে একে জড়ো হতে শুরু করে ছেলে-মেয়েরা। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে এর সংখ্যা। ছেলে-মেয়ে সকলে পরিধান করে একই রকম টি-শার্ট। কিছুক্ষণের মধ্যেই যেন কলেজ প্রাঙ্গণের চেহারা বদলে যায়। বর্ণিল রুপ ধারণ করে পুরো কলেজ প্রাঙ্গণ। আসলে এটি বন্ধুত্বের টানে মিলিত হওয়ার প্রয়াস। কলেজটির ২০১১ ব্যাচের বন্ধুরা একযুগ পর একত্রিত হয়ে যেন ফিরে যায় সেই কলেজ জীবনের মধুর স্মৃতিতে। সাথে যোগদেন কলেজের অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামসহ শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ। উচ্ছাসে মেতে ওঠেন সকলে।
ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত বন্ধুরা যেন সকল কর্মব্যস্ততা ভুলে গিয়ে দিনটিকে স্মরণীয় করতে মিলিত হয়েছিল এদিন। র্যালি, স্মৃতিচারণ, খেলাধুলা, লটারীসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিনটি উপভোগ্য হয়ে ওঠে সকলের মাঝে।
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আসা জয় গোপাল বলেন, যেদিন থেকে শুনেছে সকল বন্ধুরা একত্রিত হবে সেদিন থেকে তার ঘুম হয়না। অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে কবে ঈদ হবে। সবেশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে সে। প্রতিবছরই এমন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বন্ধুদের ফিরে পেতে চান তিনি।
তারই মত অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ইমদাদুল হক তুষার। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক। দিনরাত পরিশ্রম করেছেন এই অনুষ্ঠান সফল করার জন্য। তিনি বলেন, সফলভাবে অনুষ্ঠানটা সম্পন্ন করতে পেরে খুবই আনন্দিত। সব বন্ধুদের সাথে এতদিন পর দেখা করতে পেরে উৎফুল্ল সে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির প্রধান আরিফুজ্জামান জানান, একযুগ পর বন্ধুদের ফিরে পেতে রাত-দিন পরিশ্রম করেছেন তিনি। সকল বন্ধুদের এক করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে এটি আরও বড় পরিসরে হবে বলেও জানান তিনি।
১২ বছরের ব্যবধানে বন্ধুরা দেশের বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে গেলেও বন্ধুত্বের টানে ঢাকা, গোপালগঞ্জ, মাগুরা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে আসে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। এমন অনুষ্ঠানে আবারও মিলিত হবে সেই প্রত্যাশা নিয়েই দিনশেষে ফিরে যায় যার আপন নীড়ে।