1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
১০ মরদেহের পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে - চ্যানেল দুর্জয়
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন

১০ মরদেহের পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩

সুমাইয়া শুমু : ভেসে আসা ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার কক্সবাজারে গিয়ে এ কথা বলেছেন তিনি। জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে যান ডিআইজি। সেখানে ১০ মরদেহের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেন।

এ সময় মর্গের পাশে অবস্থান করা নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, মরদেহগুলোর পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে মরদেহগুলো পচে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করা যাচ্ছে না। যাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না তাদের ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হবে। পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এরা কীভাবে হত্যার শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, সমুদ্রে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। দস্যুতা রোধে মহেশখালী ও বাঁশখালীর বহু জলদস্যুকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমুদ্রে গমণ করা জেলেদের জন্য জিপিআরএস পদ্ধতি চালু করা হবে।

এর আগে রোববার দুপুরে বঙ্গোপসাগর থেকে কক্সবাজারের নাজিরারটেক পয়েন্ট টেনে আনা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নামহীন ওই ট্রলারের মালিক মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ছনখোলাপাড়ার রফিক উল্লাহর ছেলে শামসুল আলম। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে তার মরদেহও রয়েছে বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।

স্থানীয় জেলেরা জানান, সাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে ট্রলারটির কিছু অংশ ডুবে ছিল। পরে অপর একটি ট্রলার বিশেষ ব্যবস্থায় ট্রলারটিকে টেনে শনিবার সন্ধ্যায় নাজিরারটেকে নিয়ে আসে। ভাটার পর রোববার সকালে ট্রলারটির ভেতরে মানুষের হাত-পা দেখা যায়। তখনই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় মরদেহগুলো উদ্ধার শুরু হয়। ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো অর্ধগলিত হওয়ায় কাউকে ভালোভাবে চেনা যাচ্ছে না। তবে অনেকের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।

মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৫ রমজানে ১৮ জনের একটি দল এ ফিশিং বোট নিয়ে গভীর সাগরে যান। শাপলাপুর এলাকার নুরুল কবির নামের এক জলদস্যুর নেতৃত্বে তারা মূলত সাগরে ডাকাতি করতে যায়। কিন্তু গভীর সাগরে ডাকাতির এক পর্যায়ে ৫-৬টি ট্রলার এক হয়ে ডাকাত দলকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং ডাকাতদের মেরে তাদেরই ব্যবহৃত ট্রলারের বরফ সংরক্ষণের বাক্সে আটকে রেখে পানিতে ভাসিয়ে দেয়। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, সাগরে মাছ ধরতে গেলে ডাকাত তকমা দিয়ে ওই ১০ জনকে হত্যা করা হতে পারে।

রোববার কক্সবাজার সদর থানাধীন উত্তর কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় কক্সবাজার বিমান বন্দরের সম্প্রসারিত অংশের পাশে সাগরের পাড়ে ভেসে আসা ফিশিং বোট থেকে ১০ জনের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (সকাল ৬:১৫)
  • ২৭শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
121
3276010
Total Visitors