নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রামে দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশের সাবেক সহকারী কমিশনার এবিএম শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার (৬২) ও তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরীর বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে সম্পদের অসঙ্গতি থাকায় গত রোববার (৭মে) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক বাদী হয়ে এই ২টি মামলা দায়ের করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় দায়ের হওয়া মামলার আসামী শাহাদাৎ হোসেন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার. অলংকার পুলিশ বক্সের সাবেক পেট্রোল পরিদর্শক ও সিএমপির পিওএম (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) ছিলেন, বর্তমান ঠিকানা: বাসা-১১৪৮/ সি, চুনা ফ্যাক্টরীর রোড, দক্ষিণ কাট্টলী, পাহাড়তলী, সিএমপি, চট্টগ্রাম, স্থায়ী ঠিকানা: পিতা-মৃত মোশারফ হোসেন মজুমদার, গ্রাম-উত্তর তারাকুচা, ডাকঘর-আমজাদহাট, উপজেলা-ফুলগাজী, জেলা-ফেনী। অপর মামলার আসামী হলেন তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক নাজমুচসাদাৎ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করা হয়েছে। দুদক এই মামলাগুলো তদন্ত করবেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামী এবিএম সাহাদাৎ হোসেন মজুমদার (৬২) কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮,৩২,৫২২/- টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান করার ও ৬৮,১৮,২৮৭/- টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অপর মামলার আসামী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরীর দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য অসদুদ্দেশ্যে গোপনপূর্বক মিথ্যা তথ্য প্রদান ও ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।