1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
যশোরের ‘কহিনুর বেকারীতে তাণ্ডব’ কি ঘটেছিলো সে রাতে - চ্যানেল দুর্জয়
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন

যশোরের ‘কহিনুর বেকারীতে তাণ্ডব’ কি ঘটেছিলো সে রাতে

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর এইচ এম এম রোডের কহিনুর বেকারীতে সাহেবজান বেডিংয়ের মালিক শামসুদ্দিন ও তার ছেলে ফারুকের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত সশস্ত্র হামলা চালিয়ে কহিনুর বেকারীর মালিক মফিজুল ইসলাম বাবু কে মারধর করে অপহরণ করে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১২ জুন) রাত ১১ টা ০৯ মিনিট থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ তাণ্ডব চলে। এ সময় কহিনুর বেকারীর সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে মালিক বাবুর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা সিসি ক্যামেরার ডিভিআরও নিয়ে যায় তারা। এ সময় তার দোকানে থাকা নগদ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও দামি মালামাল লুট করেছে বলে দাবি করেছেন কহিনুর বেকারীর মালিক মফিজুল ইসলাম বাবু। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অপহরণের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তবে লুটের বিষয়টির অসত্য বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনার একটি ফুটেজ চ্যানেল দুর্জয়ের কাছে সংরক্ষিত আছে।


ফুটেজে দেখা যাচ্ছে সাহেবজান বেডিংয়ের মালিক শামসুদ্দিন ও তার ছেলে ফারুকের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত কহিনুর বেকারীতে প্রবেশ করে বাবুকে ঘিরে ফেলে এবং ফারুকের নেতৃত্বে দোকানের শার্টার নামিয়ে দেয়া হয়। এরপর দুর্বৃত্তদের সহায়তায় বাবুর মোবাইল নিজের কব্জায় নেন শামসুদ্দিন নিজেই। এসময় বাবুকে পারভেজ ভাই বলে ১৪ বার চিৎকার করে ডাকতে শোণা যায়। ১৪ বার ডাকার পরে এক দুর্বৃত্ত অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে বাবুর গালে কষে থাপ্পড় বসিয়ে দেয় এ সময় তার চশমা খুলে পড়ে যায়। এরপর জোরাজুরি করে বাবুকে তার দোকান থেকে বের করে অন্ধকার গলি পথ দিয়ে ধরাধরি করে সাহেবজান বেডিংয়ে ঢুকিয়ে আটকে রাখা হয়, সেখানে শামসুদ্দিনকে নির্দেশনা দিতে দেখা যাচ্ছে এবং তার নির্দেশনায় দুর্বৃত্তরা কাজ করতে থাকে।
এরপর ফারুকের নেতৃত্বে আরেকটি গ্রুপ ফের কহিনুর বেকারীতে ফিরে এসে শার্টার তুলে কয়েকজনকে কহিনুর বেকারীর মধ্যে ঢুকিয়ে মালামাল বস্তায় ভরার নির্দেশনা দেয়। এবং দুর্বৃত্তরা তা বস্তায় ভরতে থাকে । এ সময় দোকানের শার্টার নামিয়ে ফারুককে কহিনুর বেকারীর বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন:


হট্টগোল দেখে টহল পুলিশের একটি টিম বাবুকে সাহেবজান বেডিং থেকে উদ্ধার করে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।

এব্যাপারে কহিনুর বেকারীর মালিক মি. বাবু জানান, দোকানের মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটা বিরোধ চলে আসছিলো। এ মর্মে আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে। তবে আদালতের কোন রায়ের পূর্বেই এ কাণ্ড ঘটালেন সাহেবজান বেডিংয়ের মালিক শামসুদ্দিন ও তার ছেলে ফারুক। বর্তমানে বিষয়টি প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহল দেখভাল করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাবু নিজেই।


এ বিষয়ে বুধবার (১৪ জুন) মুঠোফোনে সাহেবজান বেডিংয়ের মালিক শামসুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আংশিক বিষয় স্বীকার করে বলেন ‘কম বেশি অনেক ঘটনা তো ঘটেছে মামলাও চলছে এখন কি বলেবো’ এরপর ফের কলব্যাক করে সাহেবজান বেডিংয়ের মালিক শামসুদ্দিন কথিত এক সাংবাদিককে মুঠোফোনে ধরিয়ে দেন। ওই কথিত সাংবাদিক বলেন তাকে এ প্রতিবেদক চেনন কিনা ,যদি না চেনেন তাহলে ডিসি ও এসপি কে ফোন দিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে। পরে সব ঘটনা শোনার পর এড়িয়ে যান সেই কথিত সাংবাদিক।তারপর বলেন তিনি জায়নামাজ কিনতে সাহেবজান বেডিংয়ে গিয়েছিলেন, তারপর শামসুদ্দিন তাকে ফোনে ধরিয়ে দিয়েছেন। শামসুদ্দিন মুরুব্বি মানুষ তিনি বক্তব্য দিবেন না বলে জানান সেই কথিত সাংবাদিক।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (রাত ৯:৫৬)
  • ১৯শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
103
3857121
Total Visitors