নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ত্যাগের মহিমায় কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন মাদ্রাসা ও খুচরা ব্যবসায়িরা। মাদ্রাসা ও আড়তে সংগৃহীত চামড়া পরিষ্কার করে লবণ লাগাতে শ্রমিকরা রাতদিন পরিশ্রম কররে যাচ্ছেন। সরকারের বেঁধে দেয়া ন্যায্য মূল্য পেলেই খুশি শ্রমিকরা।
তবে সরকারের কাছে মাদ্রাসার শিক্ষকদের দাবি, যেন এতিমের হক হিসেবে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে এতিমদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
গত ৪ থেকে ৫ বছরের টাকা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট ভেঙ্গে জাতীয় সম্পদ এই চামড়া শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, যেহেতু সাতক্ষীরা সীমান্ত জেলা। সেহেতু এক মাস আগে থেকেই সীমান্তের বিট পুলিশ, গ্রামপুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের চামড়া পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিজিবির খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, কোরবানির চামড়া পাচার প্রতিরোধের কথা মাথায় নিয়ে সাতক্ষীরার ৩৩, নীলডুমুর ১৭, যশোর ৪৯ ও খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সৈনিকরা সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় এক লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে ষাড় ২২ হাজার ৭৪২টি ও ছাগল ৭৬ হাজার ১৪৫টি সহ বলদ, গাভী ভেড়া ও মহিষ।