1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
অধ্যাপক তাহের হত্যা- দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর - চ্যানেল দুর্জয়
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
আজ থেকে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে তেল নয় চান্দু হয়ে চমকে দিলেন কার্তিক  লু ঢাকা ঘুরে যাওয়ার পর বিএনপির মাথা ঘুরে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘জন্মের পর থেকে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণে সব পরিকল্পনা করেছে ভারত’ বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রেফারির সিদ্ধান্তে অধিনায়ক ছাড়া কেউ অসম্মান দেখালে ‘হলুদ কার্ড’ ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন চৌগাছায় দুর্বৃত্তের দেওয়া বিষে নষ্ট হলো কৃষকের ৪বিঘা জমির পাট ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন ব্যর্থ প্রচেষ্টা: ওবায়দুল কাদের দুর্নীতির অজুহাতে বাংলাদেশকে জলবায়ু তহবিল থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে: টিআইবি

অধ্যাপক তাহের হত্যা- দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩

মিতু রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা এক মিনিটে আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফাঁসি কার্যকর হওয়া দুই আসামি হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই সোহরাব হোসেন কারাগারে ঢুকেন। তাকে মরদেহ হস্তান্তর করার জন্য ডাকা হয়। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার দুপুরে আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দীন ও জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে স্বজনরা শেষ সাক্ষাৎ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়ের জেরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুইজনকে খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। খালাসপ্রাপ্ত দুইজন হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী ও আজিমুদ্দিন মুন্সী।

২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম।

এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, আসামিদের স্বীকারোক্তি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, হত্যার এ ষড়যন্ত্রে মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিনই মুখ্য ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। আমাদের এটি বলতে দ্বিধা নেই যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন শুধু প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি পেতেই ড. তাহেরকে এ পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন। তার ধারণা ছিল ড. তাহের বেঁচে থাকলে অধ্যাপক হিসেবে তার পদোন্নতি পাওয়া সম্ভব না। আমাদের এটি বলতে দ্বিধা নেই যে, আপিলকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং আবেদনকারী আবদুস সালাম ও নাজমুল আর্থিক সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার জন্য অধ্যাপক তাহেরকে হত্যা করতে ড. মহিউদ্দিনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (রাত ২:২৪)
  • ১৭ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৯ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
350
3763493
Total Visitors