নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর ইনস্টিটিউট স্কুলে শ্রেণি কক্ষে চলন্ত ফ্যান খুলে মাথায় পড়ে এক অভিভাবক আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল আটটার পর ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ঘ ঘোষের মা ২য় তলার বেগম সুফিয়া কামাল কক্ষে ছেলেকে রেখে আসতে যান।
ছেলের ব্যাগ রেখে বেরিয়ে আসার সময় আকস্মিকভাবে চলন্ত ফ্যান তার গায়ের ওপর ভেঙে পড়ে। ওইসময় মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হয়। স্কুলের কর্মচারী বাবু তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার সাতটি সেলাই দেয়া হয়। পরে তিনি ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের ২য় তলার প্রতিটি কক্ষেরই অবস্থা বেহাল। বিভিন্ন কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফ্যানগুলোও টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ফ্যানের হুকগুলোও মরিচা ধরে অনিরাপদ হয়ে রয়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা নিয়েই চলছে ক্লাস।
অভিভাবকরা জানান, স্কুলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনো ফ্যান খুলে পড়ছে আবার কখনো ছাদ ধসে পড়ছে। এসব বিষয় নিয়ে তারা আতঙ্কিত। সন্তানকে স্কুলে রেখে তারা বাড়িতে থাকতে পারেন না। সবসময় টেনশনে থাকেন।
শিশু শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের স্কুলে ভয়ে থাকতে হয়। পলেস্তারা খসে প্রায় মাথায় পড়ে।
শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকরাই শুধু না, একই অভিযোগ করেন শিক্ষকরাও। তারা বলেন, আজ অভিভাবকের মাথায় পড়েছে কাল আমার কিংবা শিক্ষার্থীদের মাথায় পড়বেনা এর নিশ্চয়তা নেই। ফলে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে নতন ভবন নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা শিরীন সুলতানা বলেন, এটা অনাকাঙ্খিত বিষয়। তিনি নিজে ওই অভিভাবকের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। আজ দোতলায় ক্লাসও নেওয়া হয়নি। মিস্ত্রি ডেকে এনে সব ফ্যানের হুক চেক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুন ভবন তৈরির কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন, তিনি বিষয়টি জেনেছেন। ভবনটি ঝুকিপূর্ণ স্বীকার করে তিনি বলেন,ওই ভবন ভেঙে ফেলা হবে। ইতিমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর টেন্ডারের ওপেনিংয়ের পরই কাজ পাওয়া ঠিকাদার কাজ শুরু করবে। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্কুলের পেছনের ফাঁকা জায়গায় শেড তৈরি করে সেখানে ক্লাস নেওয়া হবে।