দুর্জয় স্পোর্টস : সাম্প্রতিক সময়ে মাঠের পাফরম্যান্স খুব একটা সন্তোষজনক না হলেও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে লঙ্কানদের উড়িয়ে দিয়ে বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে ভালো কিছু করার ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ।
ক্রিকেটকে বলা হয় আনপ্রেডিক্টেবল খেলা। তার চেয়েও বড় আনপ্রেডিক্টেবল বাংলাদেশ দল। এই দলটা খুব ভালো করেই জানে কিভাবে জয়ের ম্যাচ হাতছাড়া করতে হয়। আবার নাগালের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচও জয় বাগিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি।
যে কারণে এক ম্যাচ দেখেই মূল পর্বে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলে দেয়াটা দুষ্কর।
তবে একরাশ বিতর্ক মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়া দলটি তাদের সেরাটা দিয়ে ভালো কিছু করে সকল সমালোচনার সমাপ্তি যে টানতে মরিয়া সেটি বলার অবকাশ হয়তো রাখে না। ভালো করার ক্ষুধা যে তাদের ভেতর প্রবল, সেটির নজির তারা দেখিয়েছে লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচেই।
৭ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে টাইগারদের। বৈশ্বিক এই মহাযজ্ঞে যাত্রা শুরু করার আগে টাইগারদের সফলতা লাভের উপায় বাৎলে দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক দলপতি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
মাশরাফীর মতে বাংলাদেশের সফলতার মূল চালিকাশক্তি নিহিত পেস ডিপার্টমেন্টের ওপর। বিশ্বকাপে দলের সফলতা, ব্যর্থতা দলের পেসারদের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন তিনি।
নিজের ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় ম্যাশ বলেন, ‘এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যদি বেস্ট পারফরম্যান্স করে তাহলে সেটির মূলে থাকবে পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট। যদি খুব খারাপ রেজাল্ট করে সেটিও করবে পেস বোলিংয়ের জন্য। কারণ উইকেট এতটা ফ্লাট থাকবে যে প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানের ভেতরে বা ২৮০ অথবা ২৫০ রানের ভেতর রাখতে হবে। আর সেই কাজটাই করতে হবে পেস বোলিনহ ইউনিটের মাধ্যমে।’
‘আমি লাস্ট কিছু ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে বলছি, যেমন লেন্থ, যেমন সুইং মেইনটেইন করে বাংলাদেশের পেসাররা সেদিক বিবেচনায় বাংলাদেশের পেস বোলিং লাইন আপ বিশ্বের অন্যতম সেরা। তাই এই পেস বোলিংয়ের ওপর ভরসা রাখাই যায়। শুধু একটা দোয়াই করছি সবাই যেন ফিট থেকে ম্যাচগুলো খেলতে পারে।’