আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলে নজীরবিহীন হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলের বিভিন্ন চেকপোস্টে হামলা চালিয়ে বেশ কিছু সেনাকে আটক ও সাজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে সংগঠনটি।
শনিবারের (৭ অক্টোবর) এই হামলাকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। আল আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতেই হামাসের এই হামলা বলে জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হামাসের হামলায় অন্তত ৪০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭ শতাধিক।
হামলার পাশাপাশি হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক শহরে ঢুকে পড়েছে। গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র সদস্যরা মোটরসাইকেল, এসইউভি ও প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে।
হামাসের সবচেয়ে চৌকস ইউনিট আল-কাসেম ব্রিগেড সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে তারা দাবি করেছে, জীবিত অবস্থায় বেশ কিছু ইসরায়েলি সেনাকে গাজায় ধরে এনেছেন তারা।
এ ছাড়া, ইসরায়েলের অন্তত একটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংসের দাবি করেছে সংগঠনটি।
এক বিবৃতিতে হামাস নেতা মোহাম্মেদ দেইফ বলেন, আমরা শনিবার ইসরাইলের উদ্দেশ্যে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড শুরু করে দিয়েছি।
দেইফ বলেন, যথেষ্ট হয়েছে। ইসরায়েলকে আমরা উপযুক্ত জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশপ্রেমিক সব ফিলিস্তিনিকে এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
হামাসের রকেট হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে তিনি বলেন, ইসরায়েলের জনগণ, আমরা যুদ্ধের মধ্যে রয়েছি। এতে আমরা জিতব। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শত্রুদের এমন মূল্য দিতে হবে যে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নেই।