যশোর প্রতিনিধি : যশোরে সংবাদ সংগ্রহকালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি এ এইচ এম জিয়াউল হক (৪২) ও ক্যামেরাপারসন শরীফ খান (৩৬)। এ সময় তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে ঝিকরগাছা পৌরসভার কৃষ্ণনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত জিয়াউল হক ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর এলাকার মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একাধিক জমি দখল, স্থানীয়দের মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তার ছেলে ফখরুল ইসলাম ৩৭ব্যাচে পুলিশের এএসপি হওয়ায় তাদের দাপট আরও বেড়ে যায়। গত ১০ বছরে প্রভাব খাটিয়ে মকবুল ও ফখরুল কয়েক গুণ জমি দখল করেন। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে কৃষ্ণনগর এলাকায় মকবুল ও এএসপি ফখরুলের সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করেন।
এ এইচ এম জিয়াউল হক মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছেন, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে একাধিক মামলার আসামি যশোর শহরের কাজীপাড়া এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে অভি ইসলাম প্রান্ত, কৃষ্ণনগর এলাকার মান্দার আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন, একই এলাকার রহমানসহ চার-পাঁচ জন। ওই সময় আমাকে ও ক্যামেরাপারসনকে কিলঘুষি মেরে আহত করেছেন তারা। আমাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলে দেয়। ওই সময় তারা আমাদের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করে ফেলে। আহত হওয়ার পর আমরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শরীফ খানকে মারধর করছে সন্ত্রাসী প্রান্ত ।
এ বিষয়ে এ এইচ এম জিয়াউল হক বলেন, হামলাকারীরা কৃষ্ণনগর এলাকার মকবুল ও এএসপি ফখরুলের সন্ত্রাসী বাহিনী। মূলত মকবুলের হুকুমে আমাদের ওপর হামলা করেছে তারা।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান বলেন, ‘হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
Leave a Reply