1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিবৃতি - চ্যানেল দুর্জয়
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে মির্জা ফখরুলের বিবৃতি

  • প্রকাশিত : শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

দূর্জয় ন্যাশনাল ডেস্ক।। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ এবং সেদিনের হতাহতের ঘটনা মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, গ্রেনেড হামলার সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য অসত্য, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ২১ আগস্ট ২০০৪, গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠানে সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী যুক্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি আমাকে মারার চেষ্টা করেছেন’। এছাড়াও তিনি বেগম জিয়াকে আরও মনগড়া ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন-যা অনভিপ্রেত ও সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, এই আকস্মিক হামলার ঘটনা শোনার সাথে সাথেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হতবাক ও বিচলিত হয়ে পড়েন। তিনি দ্রুত হতাহতদের খবর নিতে থাকেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমান এবং বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেনারেল তারেক সিদ্দিকীকে দেখতে সিএমএইচ-এ যান।

প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানাতে চেষ্টা করেন, এজন্য নিরাপত্তা বাহিনী দিনভর চেষ্টা চালায়। কিন্তু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী সুধা সদনের আশেপাশের রাস্তা দিনরাত দখল করে রাখে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তার অগ্রিম টীম হিসেবে পাঠানো প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে সেখান থেকে বের করে দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
২১ আগস্ট বোমা হামলার ঘটনা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ এবং এতে হতাহতের ঘটনা মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক। এই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার ও ক্যাবিনেট নিন্দা জানান, নিহত ও আহতদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান ও দোষীদের বিচারের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার কাছে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ স্বাক্ষরে শোক ও সমবেদনা জানিয়ে পত্র পাঠান। সেই চিঠি পৌঁছাতে গিয়ে পত্রবাহক নিজেও হামলার শিকার হন।
বোমা হামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞ সার্ভিস দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফবিআই সদস্যরা আসেন। জাতীয় সংসদে উত্থাপিত দাবি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের কর্মরত একজন বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
পরবর্তীতে ১/১১ এর সরকারের সময় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষে অভিযোগ পত্রে (চার্জশিট) বোমা হামলার সাথে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জড়িত থাকার কোন উল্লেখ নাই। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাম কেউ কখনোই উচ্চারণ করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশী পূনঃতদন্তের মাধ্যমে রচিত সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমানসহ বিএনপি’র অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নাম জড়িত করা হয়। এতে সুষ্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, রাষ্ট্রশক্তি প্রয়োগ করে পুলিশী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কল্পিত চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। যে পুলিশ কর্মকর্তা কাহার আকন্দকে পূণঃতদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়, তিনি বর্তমান সরকারের অত্যন্ত আপনজন হিসেবে পরিচিত। কারণ তিনি সেসময় অবসরে থাকলেও এবং নৌকা মার্কা নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিতে এলাকায় ব্যাপকহারে পোষ্টার সাঁটার পরেও তাকে ডেকে নিয়ে এসে চাকুরীর মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২১ আগস্ট বোমা হামলার মামলার পূনঃতদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়- মামলাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য। সরকারের ইচ্ছা পূরণে তদন্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য তাকে কয়েকটি পদোন্নতিও দেয়া হয়-যা নজীরবিহীন।
আওয়ামী লীগ গ্রেনেড হামলার জন্য তারেক রহমানকে দায়ী করে। এই দাবির সমর্থনে তারা হাজির করে মুফতী হান্নানের একটি বানোয়াট জবানবন্দী-যা ভিডিও করে ইউটিউবে ছাড়া হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে মুফতী হান্নানকে পাশ থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা শিখিয়ে দিচ্ছেন কি কি বলতে হবে। এরপর ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে আদালতে মুফতি হান্নানের পূর্বের জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদনের সংবাদটি ঐ মাসের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়। সংবাদটি এ রকম-“২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের জড়িয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করেছে মুফতি আব্দুল হান্নান। আবেদনে এই জঙ্গি নেতা দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছায় এধরণের কোন জবানবন্দী আদালতে দেননি। ব্যাপক নির্যাতন করে সিআইডি’র লিখিত কাগজে তার সই আদায় করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী ও লুৎফুজ্জামান বাবরের সাথে কোথাও কোন সময়েই দেখা করিনি, পিন্টুর বাসাতেও কখনো যাইনি ও চিনি না এবং অন্যান্য আসামীদেরকেও আমি চিনি না।” এছাড়াও তার ওপর অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা রয়েছে তার জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদনে।
মুফতি হান্নানকে দিয়ে যদি বিএনপি সরকার গ্রেনেড হামলা করায় তাহলে সেই সরকারই ২০০৫ সালের ১লা অক্টোবর কেন তাকে গ্রেফতার করে?
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও মামলায় সংক্ষিপ্ত কয়েকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। সমগ্র মামলাটি বিশ্লেষণ করলে এটিই সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ বিএনপি-কে ধ্বংস করার একটি সুদূরপ্রসারী নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্যই ২১ আগস্ট সংক্রান্ত মামলায় বিএনপি-কে জড়ানো হয়েছে।
বর্তমান সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য এখনও চলমান রয়েছে। আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়াকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দকে জড়াতে সম্পূরক চার্জশিট তৈরি করার মাধ্যমে প্রহসনের বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাজা দিয়ে এখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে টার্গেট করা হয়েছে। ২১ আগস্ট নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা। এই মামলায় কোনভাবেই বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কেউ কখনোই টু শব্দটি করেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (দুপুর ১:১৭)
  • ১৯শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
139
3844647
Total Visitors