উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘোড়াঘাট থানায় মামলাটি দায়ের করেন আক্রান্ত ইউএনও’র ভাই মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন।
ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, ইউএনওর ভাই মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এই এজাহার দায়ের করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫ মিনিটের দিকে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের উপপরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, ইউএনও ওয়াহিদার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। আগের চেয়ে অবস্থা কিছুটা উন্নতি ও শঙ্কামুক্ত বলা যায়।
এর আগে রাত ৯টার দিকে তাকে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগে তার সিটিস্ক্যান করা হয়। প্রেসার চেক করে অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় তার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ইউএনওর সরকারি আবাসিক ভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় চিৎকারে তার সঙ্গে থাকা বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে অন্য কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এ সময় তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুরে পাঠানো হয়। ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে রংপুর ডক্টরস ক্লিনিকে আইসিইউতে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওয়াহিদা খানমকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।