1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ফিরে দেখা: খতমে নবুয়ত আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক দিন- ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৩ অপরাহ্ন

ফিরে দেখা: খতমে নবুয়ত আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক দিন- ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আজ সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ। সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ  খতমে নবুয়ত আন্দোলনের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। এদিন পাকিস্তানে রাসূলের দুশমন কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাফের ঘোষণা করা হয়েছে। তাদেরকে কাফের ঘোষণা দেওয়ার আইন পাস করানোর জন্যে হাজার হাজার মুসলমানকে শহীদ হতে হয়েছে, হাজার হাজার মুসলমানকে জেল-জুলুম ভোগ করতে হয়েছে। যে দেশ ইসলামের  নামে প্রতিষ্ঠিত, যে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক মুসলমান সে দেশে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবী হিসাবে মানে না এমন সম্প্রদায়কে কাফের ঘোষণার জন্যে এত কুরবানী, এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে, যা অকল্পনীয়।

‘দুয়ে দুয়ে চার’ যেমন স্বতসিদ্ধ বিষয় তেমনি খতমে নবুয়তের আকীদাও মুসলমানদের নিকট একটি স্বতসিদ্ধ বিষয়। রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শেষ নবী হিসাবে অমান্যকারী ব্যক্তি ও সম্প্রদায় কাফির এ কথা মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস রাখেন। কুরআনে খতমে নবুয়তের বিষয়ে অনেক আয়াত রয়েছে। এবং হাদীস ভাণ্ডারে এ বিষয়ে রয়েছে অসংখ্য হাদীস।

হযরত ছাওবান রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আমার উম্মতের মধ্য থেকে ত্রিশ জন মিথ্যাবাদী আত্মপ্রকাশ করবে। তাদের প্রত্যেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমি খাতামুন্নাবিয়ীন, আমার পরে আর কোনো নবী নেই।’’

… وألا سيكون في أمتي كذابون ثلاثون. كلهم يزعم أنه نبي، وأنا خاتم النبيين لا نبي بعدي، الخ.

-সুনানে তিরমিযী ২/৪৫; মুসনাদে আহমদ ৬/৩৭৩ হা: ২১৮৮৯

হযরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা. কে বললেন, ‘‘মুসার পক্ষ থেকে হারুন যে (দায়িত্ব, মর্যাদা, আর সম্পর্কের) স্থানে ছিলেন আমার পক্ষ থেকে তুমি হলে সেই স্থানে, তবে (পার্থক্য এই যে,) আমার পরে কোন নবী নেই।’’

قال رسول الله صلى عليه وسلم لعلي : أنت مني بمنزلة هاورن من موسى إلا أنه لا نبي بعدي الخ.

-সহীহ বুখারী ২/৬৩৩; সহীহ মুসলিম ২/২৭৮; সুনানে তিরমিযী ২/২১৩

তাবুক যুদ্ধে যাত্রাকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী রা. কে মদীনায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেছিলেন। আলী রা. জিহাদে না যেতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ঐ কথা বলে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

যুবায়ের ইবনে মুতয়িম রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,  ‘আমি মুহাম্মাদ, আমি আহমদ, আমি মাহী, অর্থাৎ আমার মাধ্যমে কুফরী বিমোচিত হবে, আমি হাশির, আমার (যুগের) পরই মানুষকে হাশরের মাঠে একত্রিত করা হবে এবং আমি হলাম আ‘কিব, (অর্থাৎ যার পরে আর কোনো নবী নেই)।’’

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خمسة أسماء : أنا محمد وأحمد، وأنا الماحي الذي يمحو الله بي الكفر وأنا الحاشر الذي يحشر الناس على مدى وأنا العاقب.

-সহীহ বুখারী ১/৫০০, ২/৭২৭; সহীহ মুসলিম ২/২৬১; সুনানে তিরমিযী ২/১১১

আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের দৃষ্টান্ত এই যে, এক ব্যক্তি একটি সুরম্য গৃহ নির্মাণ করল তবে এক কোণে একটি মাত্র ইটের শূন্য স্থান  রাখল। লোকেরা গৃহটির চারপাশে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল এবং তার সৌন্দর্যে চমৎকৃত হতে লাগল। তবে ওই কোণটি দেখে তারা বলতে লাগল ‘এই ইটটি কেন বসানো হয়নি?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমিই হলাম সেই ইট এবং আমি হলাম খাতামুন্নাবিয়ীন।’’

إن مثلي ومثل الأنبياء من قبلي كمثل رجل بنى بيتا فأحسنه وأجمله إلا موضع لبنة من زاوية، فجعل الناس يطوفون به ويتعجبون له ويقولون : هلا وضعت هذه اللبنة؟ قال : فأنا اللبنة وأنا خاتم النبيين.

-সহীহ বুখারী  ১/৫০১; সহীহ মুসলিম ২/২৪৮

জাবির রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার ও আমার পূর্ববর্তী নবীদের দৃষ্টান্ত এই যে, এক ব্যক্তি গৃহ নির্মাণ করল এবং তা সুচারুরূপে সমাপ্ত করল তবে একটি ইটের স্থান শূন্য রেখে দিল। এবার লোকেরা তাতে প্রবেশ করে তার নির্মাণকুশল দেখে চমৎকৃত হল। কিন্তু ওই শূন্য স্থানটি দেখে বলতে লাগল, ‘এই একটি মাত্র ইটের স্থান যদি শূন্য না থাকত!’ নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি হলাম সেই শূন্য স্থানের ইট। আমি প্রেরিত হলাম এবং নবী আগমনের ধারা সমাপ্ত হল।

مثلي ومثل الأنبياء كمثل رجل بنى دارا فأتمها وأكملها إلا موضع لبنة، فجعل الناس يدخلونها ويتعجبون منها ويقولون لولا موضع اللبنة! قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : فأنا موضع اللبنة جئت فختمت الأنبياء عليهم السلام.

-সহীহ মুসলিম ২/২৪৮

এত সব পরিস্কার হাদীস থাকার পরও অজ্ঞতা কিংবা ধোঁকা খেয়ে অনেক  মানুষ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে ঈমান আকীদা হারাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিচ্ছে আমাদের দেশের তথা কথিত আহমদিয়া নামধারী জামাত। তারা সাধারণ মানুষের ঈমান আকীদা ছিনিয়ে নিচ্ছে কৌশলে। তাদের অপকৌশল থেকে দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব আলেমদের পাশপাশি দেশের সরকারের উপরও বর্তায়। তাই সরকারের উচিত  আলেমদের দাবি মেনে তথাকথিত আহমদিয়া জামাতের সকল প্রতারণাপূর্ণ কর্মকাণ্ডকে নিষিদ্ধ করে দেশের সাধারণ নাগরিকদের ঈমান আকীদার হেফাজত করা।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (দুপুর ২:১৩)
  • ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
321
3285957
Total Visitors