1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
যশোরের আকাশ থেকে টিটো নামক নক্ষত্রের চিরপ্রস্থান। - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
পাবনার সুজানগর খাদ্য বিষক্রিয়ায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও জেইউজের তীব্র নিন্দা এক বিভাগ বাদে সারাদেশে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন দক্ষতা ছাড়া শুধু জ্ঞান অর্জন করলে আমরা পিছিয়ে পড়বো: শিক্ষামন্ত্রী রিকশাচালকদের মাঝে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ ডিএনসিসির রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌগাছার সাপেকাটা রোগীর যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যু যশোরে হিট স্ট্রোকে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

যশোরের আকাশ থেকে টিটো নামক নক্ষত্রের চিরপ্রস্থান।

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।। চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খালেদুর রহমান টিটো। যথাযথ সম্মান, আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানায় যশোরবাসী।

ঈদগাহে যশোরসহ অন্যান্য জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবীসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে শেষবারের মত দেখতে ছুটে যান। পারিবারিক সিদ্ধান্তে সোমবার (১১ জানুযারি) দুপুর ১২টার পর সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় যশোর ঈদগাহে। এর আগ পর্যন্ত বাড়িতেই রাখা হয় তার মরদেহ।

পরে বিকেলে কারবালা কবরস্থানে পিতা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানের কবরের পাশে এ জননেতার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে জোহরবাদ ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের জানাযা। জানাযার আগে শোকাহত যশোরবাসী জননেতা খালেদুর রহমান টিটোর কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধা জানায়। একে একে শ্রদ্ধা জানায় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, শহর আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, নগর বিএনপি, সদর উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষবৃন্দ, ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় রাজনীতির বরপুত্র টিটোর রাজসিক প্রস্থানে ফুটে উঠে যশোরবাসীর অকৃত্রিম ভালবাসা। ঈদগাহ ময়দানের আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে মানুষ ছুটে আসে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানাতে। শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন দল-মত নির্বিশেষে হাজারো জনতা। জোহরের নামাজের পর দুপুর ২টা ১২ মিনিটে শুরু হয় জানাযা নামাজ। নামাজ পরিচালনা করেন যশোর ইমাম পরিষদের সভাপতি আনোয়ারুল করীম যশোরী। এর আগে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এমপি খালেদুর রহমান টিটোর জীবদ্দশায় কোনো ভুল-ত্রুটি বা তার কাজকর্মে কেউ অসন্তুষ্ট থাকলে পিতাকে উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা করার অনুরোধ জানান তার ছেলে মাশুক হাসান জয়। এছাড়া মরহুম জননেতা খালেদুর রহমান টিটোর সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাবেকে নেতা নিয়াজ মোহাম্মদ শাহীন। জানাযা নামাজে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দীন, ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আযম চ ল, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, যশোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেরুল হক সাবু, জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ কচি, যশোর ইন্সটিটিউটের সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু, ন্যাপের কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এনামুল হক, জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ। এর আগে গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ষীয়ান রাজনীতিক খালেদুর রহমান টিটো ফুসফুসজনিত রোগে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তার পিতা শহরের ভোলা ট্যাংক রোডের অধিবাসী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক, তিন ছেলে মাশুক হাসান জয় ব্যবসায়ী, ক্রীড়া সংগঠক ও রাজনীতিক, মেজো ছেলে খালেদ হাসান জিউস আইনজীবী এবং ছোট ছেলে হাবিবুর হাসান জিকো। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী ছিলেন খালেদুর রহমান টিটো। ১৯৬৩ সালে সরকারি এমএম কলেজ যশোরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ইউনিয়নে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতি করেন। ১৯৬৭ সালে কলেজের লেখাপড়া শেষে করে তিনি শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী-ন্যাপ) এ যোগদান করেন। ঐ বছরেই ন্যাপের জেলা সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ সালে ন্যাপের যশোর অ লের সভাপতি প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আলমগীর সিদ্দিকী মারা গেলে তিনি ন্যাপের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে যশোর পৌরসভার নির্বাচনে জয়লাভ করেন এ বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ। ১৯৮৫ সালে জাতীয় পার্টি গঠিত হওয়ার পর ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৯০ সালের মে মাসে তিনি শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। সরকার পতনের ফলে ১৯৯১ সালে তাকে জেলে যেতে হয়। ১৯৯১ এর শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব নির্বাচিত হন খালেদুর রহমান টিটো। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা খালেদুর রহমান টিটো’কে তার দলে যোগদানের জন্য আহবান জানান। ২০০৮ সালের ২৯ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। বিএনপির বর্ষিয়ান নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামকে নির্বাচনে পরাজিত করে যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। খালেদুর রহমান টিটো ছিলেন একাধারে রাজনীতিবীদ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। যশোর উন্নয়নের তার অবদান ছিল অতুলনীয়। সবার প্রিয় এ নেতা না ফেরার দেশে চলে গেলে তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের জন্যে আজীবন বেঁচে থাকবেন যশোরবাসীর হৃদয়ে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ১১:৩৮)
  • ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
338
3287972
Total Visitors