খোলা জানালা ডেস্ক।। বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। বদলে যাচ্ছে চেনা প্যার্টান। পৃথিবীর মাটিতে বদলে যাচ্ছে ছায়া আর আলো। না, চেনা পৃথিবী মোটেও অচেনা লাগছে না। বরং মনে হয় চেনা আর অচেনার মাঝে একটা তৃতীয় স্তর আছে।
সেখানে চেনা জিনিস অচেনার রুপ ধরে অচেনা জিনিসকে চিনে নিতে সহজ করে দেয়। পৃথিবীর বদলে
যাওয়াটা অস্বাভাবিক মনে হলেও, দিনদিন এটা অনেকটা স্বাভাবিক এর মত হয়ে উঠেছে।
বদলে যাচ্ছে মানুষ। বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবন যাপন প্রণালী। পাল্টে যাচ্ছে সামাজিক রীতিনীতি, অভ্যাস-বদঅভ্যাস। প্রতিটি মুর্হূতে বাঁচার তাগিদে সুর্নিদিষ্ট দূরত্ব বজায়ের মাধ্যমে মানুষ শিখে
গেছে কিভাবে পথ চলতে হয়। কিভাবে নতুন করে একটিবার বাঁচতে হবে। এই র্দূযোগেও থেমে নেই কারোর পথ চলা।
হোঁচট খেলেও উঠে দাঁড়ানোর শক্তি এখন মানুষের প্রতিনিয়ত তৈরি হয়ে গেছে। বদলে গেছে সমাজ। মানুষ আজ মানুষকে খুব ডরায়। মানুষে মানুষে দূরত্বই যেন এখন বেঁচে থাকার অন্যতম উপায়।
মুখোশ এখন মানুষের আসল রুপ।
মেরুকরণ হচ্ছে মানুষের। মসজিদ দেবালয় বন্ধ হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তুর্ধম মানুষকে এখন ছায়া
দিচ্ছে। র্ধমীয় আচার বেড়েছে। র্নিভরশীল হচ্ছে নিজ নিজ র্ধমের স্রষ্টার প্রতি। তবে সব কিছুর মধ্যেও কিছুজিনিস ঘটেছে এই বিশ্বে যা খুবই ইতিবাচক। করোনাকালীন এই র্দূযোগে পৃথিবী সেজেছে নতুন রুপে, চারিপাশে সবুজের সমারোহ। প্রাকৃতিক বনাঞ্চল নিজেদের মেলে ধরতে শুরু করেছে। প্রাণীকূলে স্বতি এসেছে। বিশ্বে কিছুকিছুজায়গায় মানবিকতার নতুন দৃষ্টান্ত প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। সত্যিই সময়অনেক শক্তিশালী, নিমিষেই সবকিছুপর্রিবতন করে দেয়, শিখিয়ে দেয় নতুন কিছু। কিভাবে বস্তুনিষ্ঠ, সত্যবাদী, আত্নপ্রত্যয়ী ও আত্নবিশ্বাসী হওয়া যায়। একদিন নতুন র্সূয উদিত হবে, শূন্যের খাতায় নেমে আসবে করোনা রোগী। করোনাকালীন পুরনো দিনগুলো আমাদের তখন মনে করিয়ে দিবে সত্যিই তো বেঁচে থাকাটা যেন অবাক সত্য, এই বিশ্বাস নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে।
লেখকঃ
মোঃ মামুন হাসান বিদ্যুৎ
বিবিএ, এমবিএ ( অধ্যায়নরত)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।