যুগে যুগে কোরবানির পশুর চামড়া হলো
চামড়া শিল্পের জন্য অন্যতম মৌসুমও সম্পদ
এর মূল্যটা পেয়ে থাকে একমাত্র গরীব জনগণ
কিন্তু কয়েক বছর ধরে এর প্রতি কারো নেই দরদ।
ঈদেরদিন কোরবানির পর ক্রেতা দেখা যায় এখন
প্রতিটি মানুষই খুব বিপদে থাকে কোরবানির চামড়া নিয়ে
আগের মতো এখন আর আসেনা ঈদেরদিন কোন ক্রেতা
অবশেষে এই মূল্যবান চামড়াখানা বিনামূল্যে ওরা যায় শেষে নিয়ে।
ফলে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী হচ্ছে বঞ্চিত তাদের হক হেকে
মনে হয় এর সমাধানে এই দেশে নেই কোন কাযকর ভূমিকা
যদি থাকতো তাহলে এই মূল্যবান চামড়ার এমন দশা হতোনা
ঈদের দিন অবশ্যই চামড়ার ক্রেতার পাওয়া যেতো দেখা।
এভাবে প্রায় সবক্ষেত্রেই দেখা যায় ঠকছে দেশের গরিবরা
এহেন অমানবিকতা আর অবহেলার নেই কী সমাধান তার
তাহলে গরীবদের স্বাথ দেখার কেউ নেই দেশ ও সমাজে
মূল্যবান এই চামড়ার টাকায় তো উপকার হতো দেশের গরীবের।
এই সুযোগে চামড়ার ব্যবসায়ীরাই হচ্ছে কোটি কোটি টাকার মালিক
এভাবে সিন্ডিকেট করে ফ্রিতে চামড়া নিয়ে তারা আড়ত করে বোঝাই
আর এই চামড়াজাত পণ্য চড়া দামে করছে বিক্রি তারা মিলে দেশ-বিদেশে
আর ঈদ আসলেই দেখা যায় দেশে পশুর চামড়ার কোন ক্রেতা নাই।
এই অরাজকতার সমাধান অচিরে না হলে গরীবদের হাহাকার ও অভিশাপে
অদৃশ্য গজব আসবেই তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নাই
গরীবদের হক নস্ট হচ্ছে এমন সব পথ দেশ থেকে অচিরেই বন্দ করতে হবে
ধনী শুধু ধনী হবে আর গরীব হবে গরীব এর সঠিক ও আধুনিক সমাধান চাই।
ভয়াবহতার দিকে যাত্রা
একদিকে করোনা ভাইরাসের ভয়াল ঢেউ
এরই মাঝে আসলো চলে এবার ঈদের ঢেউ
শুধুই যেন যাওয়া আর আসা যাওয়ার হৈ চৈ
স্বাস্থ্য বিধি বা বিধিনিষেধ মানছেনা ওদের কেউ।
না ঠেকাতে পারলে মানুষের এই ঢেউ
হতে পারে মহা দুর্যোগ দেশে এবার ঘরে ঘরে
স্বাস্থ্যবিধি আর বিধিনিষেধের কথাগুলো যেন
মনে নেই কারোর তাই সবাই যেন নির্ভয়ে ঘরের বাইরে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে তাই এবার
অনেক মানুষই আছেন বন্দী নিজ নিজ ঘরে
মাংসগুলো আগের মতোই হলো বন্দী ডিপ ফ্রিজে
সুযোগ নেই এবার বিনোদনের বাইরে ঘুরে ফিরে।।
বাড়ছে সংক্রমণ আর বাড়ছে ভয় আর আতঙ্ক
তবুও মানুষ ছুটে চলছে সারাক্ষণ এদিক-ওদিক
ভয় নেই করোনার কাটছে সময় মানুষের পথে ঘাটে
এসব দেখে মনে হয় আমরা আসলেই কতো নির্ভীক!
দেশে হাসপাতাল গুলোতে একটু ঠাঁই নেই আজ
আরও যদি বাড়তে থাকে সংক্রমণ এখন কি হবে
আমরা কোথায় যাব চিকিৎসা নিতে সেই দিকে একদম
মনে হচ্ছে দেশের গণ মানুষের নেই খেয়াল আর মন।
বাঁচতে চাইলে আর বাঁচাতে চাইলে মানুষকে এবার
প্রিয় দেশবাসী করা যাবেনা আর মোটেও অবহেলা
মানতে হবে বিধিনিষেধ আর থাকতে হবে ঘরে
সীমিত করতে হবে এবার সবারই বাইরে অবাধে চলা।
সমবেতভাবে ধরতে হবে শ্লোগান সবার এই সময়ে
মাস্ক পড় নিজে সুস্থ থাক নিরাপদ রাখ অন্যকে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলো মেনে কস্ট হলেও সরকারকে
নইলে কিন্ত থাকবনা ভাল কেহই যাব ভয়াবহতার দিকে।
এম হানিফা (নরসিংদী)