ওয়েব ডেস্ক।। তাঁতীলীগ নেতা যশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকার আব্দুর রহমান কাকন হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামি অজ্ঞাত করে মামলা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে হত্যা মিশন সদস্যরা শনাক্ত হলেও তার মা সুফিয়া বেগম মামলায় কারো নাম উল্লেখ করেননি। তবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এলাকার চিহ্নিত ৫ জনকে খুঁজছে বলে তথ্য মিলেছে। এদিকে ঘটনার ব্যাপারে ৩ জনকে হেফাজতে নেয়ার তথ্য আসলেও যশোর কোতয়ালির অফিসার ইনচার্জ তা স্বীকার করেননি। দ্রুতই জড়িতরা শনাক্ত ও আটক হবে বলে তার দাবি।
১৭ নভেম্বর রাতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে খুন হন বারান্দীপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে তাঁতীলীগ নেতা কাকন। নানা দোষে দুষ্ট একাধিক মামলার আসামি কাকন খুনের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে নানামুখি তথ্য আসতে থাকে। এলাকায় নানা অনৈতিক ব্যবসা ও আধিপত্য নিয়ে তারই পরিচিত জনদের সাথে তার বিরোধ তুঙ্গে ওঠে উল্লেখ করে একাধিক সূত্র জানায় এলাকার সাদ্দাম ও জিতুর সাথে তার দ্বন্দ্ব বাধে। এরই অংশ হিসেবে ওই দিন রাতে জিতু, সাদ্দাম, শফি, শামীম ও সানি তার উপর হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটায়। ওই জিতু ও সাদ্দামকে সেল্টার দেয় ফিরোজ নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি। হত্যাকান্ডের পর চক্রটি এলাকার টগর নামে একজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। ওই সব তথ্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকেও দেয়া হয় ওই সূত্রগুলো থেকে। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও পিবিআই যশোরের পৃথক টিম অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযানের সময় ৩ জনকে হেফাজতে নেয়ার তথ্য আসলেও থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম ওই তথ্য অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন কেউ আটক হয়নি। তবে আসামি শনাক্ত ও আটকে অভিযান চলমান রয়েছে। নিহতের মা আসামি অজ্ঞাত করে এজাহার দিয়েছেন।
এদিকে এব্যাপারে বারান্দীপাড়ার অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, কাকনের মূল বাড়ি পুরাতনকসবা কাজীপাড়ার বিপুল টেইলার্সের পাশে। তিনি বারান্দীপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে ঘটনায় জড়তিদের নাম তার পরিবারের কাছে দেয়া হলেও আসামি অজ্ঞাত করে মামলা হয়েছে। অজানা কোনো ভয়ে, নাকি কারো প্রভাবে বা চাপে মামলায় কারো নাম দেয়া হয়নি এনিয়েও এলাকায় আলোচনা হচ্ছে।
তথ্যসুত্র : গ্রামের কাগজ