রাজশাহী ব্যুরো : ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করলে পাপ হবে’ অবেশেষ ফেসবুক লাইভে এসে এ মন্তব্যে কথা স্বীকার করেছেন রাজশাহী কাটাখালি পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। তিনি এক বড় হুজুরের আপত্তির কারণে এইসব মন্তব্য করেন বলে ফেসবুক লাইভে উল্লেখ করেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে তার পৌর মেয়র আব্বাস তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এ কথা স্বীকার করেন। প্রায় ২০ মিনিটের ফেসবুক লাইভে ভিডিওতে তিনি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে বলেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
পৌর মেয়র আব্বাস ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘কাটাখালি জামিয়া উসমানিয়া মাদরাসার বড় হুজুর জামাল উদ্দিন সন্দীপি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। আমি একজন মুসলমান একজন আল্লাহওয়ালা লোকের কথা শুনে আমি আমার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি, এটা আমার যদি ভুল হয়ে থাকে, তবে এর জন্য আমাকে নানা ধরনের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। যে শাস্তি আমি সহ্য করতে পারছি না।’ তবে ম্যুরাল নির্মাণ আর যে করা হবে না, এ কথা আমি বলিনি।
আব্বাস আরও বলেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ছোট একটি ভুলের কারণে আমার বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র কেন করা হচ্ছে, আগামীতে এর পেছনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ তুলে ধরব ফেসবুক লাইভে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত থেকে পৌর মেয়র আব্বাসের কটূক্তিমূলক বক্তব্য অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে মেয়র আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, ‘ওই গেটটি দ্রুত নির্মাণ হবে। তবে আমরা যে ফার্মকে কাজটি দিয়েছি, তারা গেটের ওপরে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল বসানোর ডিজাইন দিয়েছে, সেটি ইসলামী দৃষ্টিতে সঠিক না। তাই আমি সেটিকে বাদ দিতে বলেছি।’
আরও শোনা গেছে, ‘যেভাবে বুঝেছে তাতে আমার মনে হইছে, ম্যুরালটা হইলে আমার ভুল হয়ে যাবে। এ জন্য চেঞ্জ করছি। এই খবরটাও যদি আবার যায় রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। ওই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দিতে চাইয়া দিচ্ছে না! বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে যাইয়া নারাজ করব নাকি? এইডা লিয়েও রাজনীতি করবে কিন্তু আমি শিওর।’