1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক - চ্যানেল দুর্জয়
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
পাবনার সুজানগর খাদ্য বিষক্রিয়ায় শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিএফইউজে ও জেইউজের তীব্র নিন্দা এক বিভাগ বাদে সারাদেশে চতুর্থ দফায় ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি নিখোঁজের দুইদিন পর নদী থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা প্রণব কুমার বড়ুয়া মারা গেছেন দক্ষতা ছাড়া শুধু জ্ঞান অর্জন করলে আমরা পিছিয়ে পড়বো: শিক্ষামন্ত্রী রিকশাচালকদের মাঝে ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ ডিএনসিসির রোগীর প্রতি চিকিৎসকের অবহেলা বরদাস্ত করবো না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী চৌগাছার সাপেকাটা রোগীর যশোর সদর হাসপাতালে মৃত্যু যশোরে হিট স্ট্রোকে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

আটা-ময়দা-সুজি দিয়ে তৈরি হতো অ্যান্টিবায়োটিক

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৪

দেশে যেসব ওষুধ কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে, অথবা যে কোম্পানি দেশে নেই, সেসব কোম্পানির ওষুধ একটি অসাধু চক্র নকল করে বাজারজাত করে আসছে। নকল মোড়কে এসব ওষুধ বাজারে ছাড়া হতো। মোড়কের ভেতরে থাকত আটা–ময়দা ও সুজি দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট। ভয়ংকর এ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ মার্চ) মতিঝিল ও বরিশাল কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, শাহীন, হৃদয় ও হুমায়ুন। তাদের কাছ থেকে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩০০ পিস নকল অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, চক্রটি ঢাকার সাভার ও কুমিল্লায় কারখানা তৈরি করে এ ট্যাবলেট তৈরি করত। পরে সেগুলো নিয়ে বরিশালে গুদামজাত করত। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কুরিয়ারের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। চক্রটি গত ৮-১০ বছর ধরে এ প্রতারণা করে আসছিলে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয়কর্মীর চাকরির পাশাপাশি এ প্রতারণা করছে। যেসব ওষুধের ভালো বাজার ছিল, কিন্তু কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর পাওয়া যায় না, সেসব ওষুধ তারা টার্গেট করত। নকল মোড়কে আসল ওষুধ বলে বিক্রি করত। এ ছাড়া যেসব ওষুধ কোম্পানি বাংলাদেশে নেই, বাজারে নেই, সেগুলোই তারা তৈরি করে বাজারজাত করত।

হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার শহীদুল দীর্ঘদিন ধরে বরিশালের নথুল্লাবাদ এলাকায় নকল বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক মজুত করে শাহীনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে আসছিলেন। হুমায়ুন অপসোনিন কোম্পানির বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করতেন। এ ছাড়া সিরাজুল ও হৃদয় নকল ওষুধ বিক্রয়ের যাবতীয় কাজ করতেন। কারখানায় নকল ওষুধ তৈরি করে সেগুলো কুমিল্লার আবু বক্কর বিভিন্ন কুরিয়ারের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ করতেন। এভাবেই চক্রটি নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করত। এর আগেও এ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জামিনে বের হয়ে তারা আবার একই কাজ শুরু করেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, চক্রটি বাজারে থাকা ও বাজার থেকে বিলুপ্ত এমন ওষুধের মধ্যে রিলামক্স-৫০০ ট্যাবলেট, মক্সিকফ-২৫০, সিপ্রোটিম-৫০০ এমজি, এমোক্সস্লিন, জিম্যাক্স, মোনাস-১০ নকল করে বাজারে ছাড়ত। তারা কাফকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ডক্টর টিমস ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিথ ফার্মাসিউটিক্যালস, কুমুদিনী ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নকল করত। চক্রটি ১০ বছর ধরে ভেজাল ওষুধ তৈরি করে আসছে। তাদের নামে এ পর্যন্ত ১৫টি মামলা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৮০টি ইউনানি ওষুধ কোম্পানির ভেজাল ওষুধ তৈরির বিষয়ে তথ্য তারা ওষুধ প্রশাসনকে দিয়েছেন। চক্রটির অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (রাত ১:২৫)
  • ৩০শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২১শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৭ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
338
3288240
Total Visitors