1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
বরগুনার আমতলীতে বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ - চ্যানেল দুর্জয়
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:১৪ অপরাহ্ন

বরগুনার আমতলীতে বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ জুলাই, ২০২০

বরগুনা প্রতিনিধিঃ ঘরে ঘরে করোনা উপসর্গের রোগী। আমতলীতে বেড়েই চলছে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ। আতঙ্কে হাসপাতাল মুখী হচ্ছে না মানুষ। করোনা পরীক্ষা না হওয়ায় প্রকৃত রোগীর সংখ্যা চিহিৃত করা যাচ্ছে না । রোগীর স্বজনরা বেশী নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার দাবী জানিয়েছেন। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন ।

জানা গেছে, গত জুন মাসে আমতলী উপজেলার ৪৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ১৬ হাজার ৫’শ ২৩ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এ হিসেবে করোনাকালিন সময়ে গত সাড়ে চার মাসে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়া রোগীর সংখ্যা অন্তত ৭৫ হাজার। এর মধ্যে অধিকাংশ রোগী জ¦র সর্দি ও কাশিতে ভুগছিল বলে নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়। গত ৮ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত (১৫ জুন) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছয়’শ ৩৮ জনের করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৯২ জনের নমুনা পজেটিভ হয়েছে। মৃত্যুবরন করেছেন ৪ জন। এ যাবত সুস্থ্য হয়েছেন ৬২ জন। বাকী ২৬ জন হাসাপাতাল ও বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

এদিকে উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই করোনা উপসর্গের রোগী রয়েছে। তারা উপসর্গ নিয়ে বাড়ীর কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আতঙ্কে মানুষ হাসপাতাল মুখী হচ্ছে না। অনেকে ঘরে বসে মুঠোফোনে চিকিৎসকদের পরামর্শে ঔষধ সেবন করছেন এবং সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে বাধ্যবাধকতা থাকায় নমুনা দিতে পারছে না অনেকেই। এতে প্রকৃত করোনা রোগীর সংখ্যা চিহিৃত করা যাচ্ছে না। উপসর্গকৃত রোগীর মধ্যে গুরুতর অসুস্থদের কিয়াদাংশ উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিপিআর ল্যাবে (করোনা ল্যাব) পাঠিয়ে দিচ্ছেন। তবে গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের মধ্যে অনেকেরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নমুনা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগী ও তার স্বজনদের।

অপরদিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩ জন চিকিৎসকদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসকসহ ৫ জন চিকিৎসক ও ৬ জন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় মুঠোফোনে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার প্রায় ঘরে ঘরেই জ¦র সর্দি-কাশির রোগী রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন আবহাওয়াজনিত কারনে জ¦র সর্দি-কাশির রোগীর সংখ্যা রেড়ে গেছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কারন নেই। ঘরে ঘরে জ¦র সর্দি ও কাশির রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বুধবার আমতলী পৌর শহরের সবুজবাগ, পুরাতন বাজার, খোন্তাকাটা, ফেরীঘাট, টিএনটি সড়ক এবং উপজেলার কাউনিয়া, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া, আঠারোগাছিয়া, সোনাখালী, গাজীপুর, চুনাখালী, মহিষকাটা, শাখারিয়া, কেওয়াবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, ঘোপখালী ও টেপুরাসহ বিভিন্ন গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ঘরেই জ্বর সর্দি ও কাশি রোগী রয়েছেন। তবে গ্রামের চেয়ে উপজেলা শহরে এ রোগীর সংখ্যা বেশী। কিন্তু ভয়ে অনেকেই স্বীকার করছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ঘরে ঘরে জ্বর সর্দি ও কাশি লেগেই আছে। তারা ভয়ে স্বীকার করছে না এবং হাসপাতালে যেতে চাচ্ছে না। গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করছে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী মুঠোফোনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মুঠোফোনে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা ভালো হয়ে যাচ্ছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আবহাওয়া ও ভাইরাসজনিত কারনে জ্বর,সর্দি ও কাশির রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। রোগীরা আতঙ্কে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে না। তবে অনেক রোগীরা মুঠো ফোনে চিকিৎসকদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাধ্যবাধকতা থাকার কারনে পর্যাপ্ত নমুনা নিতে পারছি না। নমুনা দিতে পারলে সঠিক করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেরিয়ে আসতো। তবে অনেক রোগীই নমুনা পরীক্ষা ছাড়া ভালো হচ্ছে যাচ্ছেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (সন্ধ্যা ৬:১৪)
  • ১৮ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
189
3817955
Total Visitors