নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের সিতারামপুরে পেয়ারা চুরির অপবাদ দিয়ে রিফাত সুলতান নামে ১৩ বছর বয়সী এক মানষিক ভারসম্যহীন শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন সিতারামপুর মধ্যপাড়া গ্রামের ভুক্তভোগী রিফাতের মা জাহানারা খাতুন স্বপ্না।
আসামিরা হলো সিতারামপুর মধ্যপাড়ার মৃত আমানত মোল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম ও মহিদুল জামান কাজল , শেখ পাড়ার নুরো খাঁ’র ছেলে জাহিদ , টিক্কার ছেলে রিপন ও বুলু । বুধবার রাতে রিফাতের মা বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এই নিউজের ভিডিও দেখতে এই লেখায় ক্লিক করুন
উল্লেখ্য দুই নং আসামি মহিদুল জামান কাজল বাঘারপাড়া উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সরকারী ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে রিফাতের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে এ ঘটনা ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করেছিলেন মহিদুল জামান কাজল।
জাহানারা খাতুন স্বপ্না মামলার বর্ণনায় বলেছেন, তার ছেলে রিফাত একজন প্রতিবন্ধী বই নং ৪৭৬। আসামিরা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেয়ারা চুরির অপবাদ দিয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে নীলা ফোলা জখম করে। আসামি নজরুল তার হাতে থাকা জিআই পাইপ দিয়ে রিফাতের মাথায় বাড়ি দিলে রিফাত মাথা সরিয়ে নেয়,সেই বাড়ি পিঠে লাগে। কাজল কোদালের আছাড়ি দিয়ে মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি দিলে ঠেকাতে গেলে সে বাড়ি রিফাতের বাম হাতে লাগে। লোকমুখে খবর পেয়ে বড় ছেলে রেজওয়ান সুলতানকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে আসামিদের জিআই পাইপ, কোদালের আছাড়ি এবং লাঠিয়ে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মারার কারণ জিজ্ঞেস করেন । এ সময় আসামিরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায় ।
এ ব্যাপারে কোতায়ালি মডেল থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম বলেন , রিফাতের মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগটি মামলা আকারে রেকর্ড করা হয়েছে এবং আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে । আসামিরা পালাতক থাকায় কাউকেই এখন পর্যন্ত আটক করা যায়নি। শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে পুলিশ জিরো টলারেন্সনীতি অনুসরণ করবেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য প্রতিবন্ধী রিফাত কে নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ ‘যশোরে পেয়ারা চুরির অপবাদে প্রতিবন্ধী শিশুকে মধ্যযুগীয় নির্যাতন’ শিরোনামে সর্বপ্রথম এশিয়ান টেলিভিশন ও চ্যানেল দুর্জয়ে প্রকাশিত হবার পর জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিনের দৃষ্টি গোচর হয়। এবং তিনি আন্তরিকতার সাথে প্রতিবন্ধী রিফাতকে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।