ঢাকা অফিস : নামে নামে যমে টানে। এমনই অবস্থা বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুজ্জামান খানের। নামের মিল থাকায় তাকে যাবজ্জীবন সাজার পলাতক আসামি মনে করছে পুলিশ। ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুজ্জামান গত এক সপ্তাহ ধরে ঘুরছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বারান্দায়। কোনো দোষ না করেও যাবজ্জীবন সাজার আসামি হিসাবে তাকে খুঁজছে পুলিশ।
১৯৯৯ সালের অস্ত্র মামলায় ২০১৪ সালে যাবজ্জীবন সাজা হয় রাকিবুজ্জামান রাকিব ওরফে মিঠু নামের এক ব্যক্তির। তবে জামিনে মুক্ত থাকায় সাজার রায় জেনে পালিয়ে যান তিনি। তাকে না পেয়ে শুধু নামের মিল থাকায় ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুজ্জামানের জীবনে যমদূতের মতো হাজির পুলিশ।
ভুক্তভোগী রাকিবুজ্জামান জানান, গত এক বছর ধরে আমাকে পুলিশ হয়রানি করছে। অন্য কোনো আসামির মামলায় আমার এবং আমার বাবার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এ ঘটানার কারণে আমি দেশের বাইরে যেতে পারছি না। বাসায় টেনশনে থাকি।
তিনি আরও জানান, যেহেতু এ মামলার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িত নই, তাই ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য আমার উচ্চ আদালতে আসা।
আরও পড়ুন : যশোরে সেই প্রতিবন্ধী শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা’ কাজল সহ আসামি ৫
বিষয়টি লিখিতভাবে আইজিপিকে জানিয়েও মেলেনি প্রতিকার। হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে নিজের পূর্ণ পরিচয় দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকে চিঠিও দিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুজ্জামান। তবে তাতে কোনো ফল হয়নি।
অসহায় এই ব্যক্তি তাই কড়া নেড়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের দুয়ারে। চেয়েছেন পুরো ঘটনার তদন্ত।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফয়সাল আরিফ জানান, ওই মামলার আসামি যখন জেলে, তখন রাকিবুজ্জামান সৌদি আরবে চাকরি করতেন। সেসময় থেকে তিনি দেশে আসা-যাওয়া করতেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলার চার্জশিটে এসে নামের কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যাতে করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে নামের মিল থাকায় পুলিশ রাকিবুজ্জামানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) এই রিটের শুনানি হতে পারে। যাতে ন্যায়বিচারের আশা ইঞ্জিনিয়ার রাকিবের
Leave a Reply