কেশবপুর প্রতিনিধি । কেশবপুরে সাগরদাঁড়িতে ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। এবারের মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার মধুভক্ত, তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সাগরদাঁড়িতে এসে ভিড় জমায়। উপভোগ করেন মধুমেলা। ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুরে সাগরদাঁড়িতে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯তম জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার আয়োজন করা হয়। ৩১ জানুয়ারি মেলার শেষ দিন ছিল।
এবারের মেলার মাঠের প্রধান আকর্ষণ হলো উদ্বোবনী ডিজিটাল কৃষিমেলা, সার্কাস, নাগরদোলা, নৌকা দোলনা, যাদু প্রদর্শনী, শিশুদের জন্য ট্রেনসহ বিভিন্ন ধরনের আকর্শনীয় খেলার সামগ্রী। এদিকে মধু মেলার মাঠজুড়ে বসেছিল চুড়ি, কাপড়, কম্বল, কসমেটিক্স, হোটেল, বাহারি রঙের মিষ্টির দোকান এবং ফার্নিচারের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ৩ শতাধিক স্টল। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলার মাঠে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এছাড়া মধুমঞ্চে প্র্রতিদিন বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা সভা, নাটক, কবিতা পাঠ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন : এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় : মির্জা ফখরুল
করোনার কারনে তিন বছর পর এবার মধুমেলা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অন্যবারের তুলনায় এবারের মেলা জমে উঠেছিল। আগতরা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি, কাচারি ঘর, কপোতাক্ষ নদের পাড়সহ মেলার আকর্শণীয় স্থানগুলি ঘুরে ঘুরে দেখছেন। এবপর তারা বিভিন্ন স্টলে গিয়ে কিনেছেন তাদের পছন্দের পণ্য। দোকানীরা জানান, এবার বেচা-কেনাও অনেক ভাল। মেলায় আগতরা জানান, অন্যবারের চেয়ে এবারের মধুমেলা অনেক উপভোগ করেছি। তবে যাদুর প্যান্ডেলে যাদুর নামে অশ্লীল নাচ দেখে আমরা হতবাক হয়েছি। এছাড়া প্রতিটা প্যান্ডেলে প্রবেশ মূল্যও এবার অনেক বেশী। গত ২৫ জানুয়ারি মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মজয়ন্তি উপলক্ষে কেশবপুরের সাগদাঁড়িতে সরকারি ভাবে ৭ দিনব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।