বিশেষ প্রতিনিধিঃ ইলিশের ভরা মৌসুমে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের তেমন দেখা না মিললেও চাঁদপুর মাছঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার মণ ইলিশ কেনাবেচা চলছে। এসব ইলিশের বেশির ভাগ আসছে নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশনসহ সাগর অঞ্চল থেকে।
এসব এলাকার জেলেরা ভালো দাম পাওয়ার আশায় বড় বড় নৌকা ভর্তি করে ইলিশ এনে বিক্রি করছেন চাঁদপুর মাছঘাটে। এতে চাঁদপুর মাছঘাটের ব্যবসায়ীসহ ঘাটের শ্রমিকেরা বেশ উৎফুল্ল ও আনন্দিত।
চাঁদপুর মাছঘাট ঘুরে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে ট্রলারে ও বড় বড় জেলেনৌকায় প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার মণ ইলিশ আসছে এই ঘাটে। এতে চরম ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। একই সঙ্গে খুচরা ও পাইকার ক্রেতাদের ভিড়েও সরগরম মাছঘাট এলাকা।
মাছঘাট ঘুরে দেখা যায়, একের পর এক নৌকা থেকে বিভিন্ন আড়তে নামানো হচ্ছে খাঁচায় খাঁচায় ইলিশ। সঙ্গে সঙ্গে খুচরা ও পাইকার ক্রেতারা দরদাম করে নিয়ে নিচ্ছেন এসব ইলিশ। পাশেই বরফজাত করে বড় বড় বাক্সবন্দী করা হচ্ছে ইলিশ।
মাছঘাটের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় জেলেরা তেমন ইলিশ পাচ্ছেন না। এই ঘাটে যেসব ইলিশ দেখা যাচ্ছে, তা নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলার চরফ্যাশনসহ সাগর অঞ্চল থেকে আসা। এর আগে কদিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকেও প্রচুর ইলিশ আসে এ ঘাটে।
মাছঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল খালেক মাল বলেন, ইলিশের প্রচুর আমদানি আছে। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার মণ ইলিশ আসছে। কিন্তু দাম আগের মতোই আছে। এসব ইলিশ সারা দেশের খুচরা ও পাইকার ক্রেতারা কিনে নিয়ে সড়ক বা রেলপথে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে এই ঘাটে এক কেজির ইলিশ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে সাড়ে ৯০০ টাকায় কেনাবেচা চলছে।
ইলিশ গবেষক চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এখন ইলিশের মৌসুম মাত্র শুরু হয়েছে। এ কারণে সাগরের মোহনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আসা করছি পদ্মা ও মেঘনায়ও প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে। আগস্ট পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।