বাগেরহাট সংবাদদাতা॥ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাটে পুলিশের বাঁধার মুখে পদযাত্রা পালন করেছে বিএনপি। শনিবার সকালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শহরের পুরাতন বাজার মোড় এলাকায় পদযাত্রা শুরু করে। পদযাত্রা শুরুর সাথে সাথে পুলিশ বাঁধা দেয়। পুলিশি বাঁধার এক পর্যায়ে কর্মসূচি শেষ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের মুনিগঞ্জস্থ বাড়িতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে দলের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে পুরাতন বাজার এলাকা থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিমকে আটক করে থানা পুলিশ।
আটক অন্যদের মধ্যে কচুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজরা আছাদুল ইসলাম পান্না, বিএনপি নেতা শেখ শাহেদ আলী রবি, যুবদল নেতা আইয়ুব আলী মোল্লা বাবু, জয়নুল পারভেজ সুমন ও নাছিমের নাম পাওয়া গেছে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধার প্রতিবাদ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম।
এসময় বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সদস্য কামরুল ইসলাম গোড়া, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, অহিদুল ইসলাম পল্টুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদযাত্রা বানচাল করতে পুলিশ গতরাত থেকেই আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে তল্লাশি করে। সকালে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা প্রদান করে। আমাদের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দসহ ৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার শামিল। অতিদ্রুত এসব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
এদিকে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের পক্ষ থেকে বাগেরহাটে কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। আমরা তাদেরকে কর্মসূচি পালন না করার জন্য আহবান জানিয়েছিলাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি বিএনপির নেতাকর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য আমরা বিএনপির কয়েকজনকে আটক করেছি। আটকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ জনের মত হবে। আমরা যাচাই বাছাই করছি, পরে আরও জানানো হবে।