নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন- লুলু মিয়া (৪২) ও মৃত সহিদার রহমানের ছেলে দুলাল মিয়া (৫৮)।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল হোসেন জানিয়েছেন, বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চল্লিশ সাল চর সংলগ্ন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় আহত হন সাংবাদিক একেএম সুমন মিয়া, এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরপার্সন আরিফুল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সাংবাদিকরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিক বাদশাহ ওসমানী বাদী হয়ে হামলাকারী লুলু মিয়া ও তার ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে তিস্তা নদীর চরে চাষ হওয়া ভুট্টার ফলনের সচিত্র প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহে যান বাদশাহ ওসমানীসহ আরও চার সাংবাদিক। সেখান ভিডিও ধারণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ শেষে ফেরার সময় চল্লিশ সাল চর সংলগ্ন এলাকায় লুলু মিয়া ও তার ছেলে রাজু মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকের ব্যবহৃত ক্যামেরা, লাইভ ডিভাইস ও ওয়্যারলেস মাইক্রোফোন ভাঙচুর করে তা ছিনিয়ে নেয়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনা তদন্ত করা হয়। নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ দেখে এসআই সত্যেন্দ্রনাথ, এসআই শাহনেওয়াজ, এএসআই হাবিবুল্লাহ ও দুজন ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বৃহস্পতিবার দুপুরে লুলু মিয়া ও দুলাল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।