আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালি থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে ডিওপ।
শনিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া ভাষণে ডিওপ মিনুসমা ‘আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধিতে সমস্যার একটি অংশ হয়ে উঠেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন।
মিনুসমাতে ১৩ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে, যাদের এক দশক পুরনো মিশন দেশটিতে জিহাদি সহিংসতার বিস্তার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাশিয়ান ওয়াগনার ভাড়াটেরা এখন মালির সামরিক শাসকদের সহায়তা করছে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা ওয়াগনারের বিরুদ্ধে ইউক্রেন এবং আফ্রিকার কিছু অংশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইভান মাসলভের উপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে, যাকে তারা মালিতে ওয়াগনারের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।
তবে ওয়াগনার পশ্চিমা অভিযোগের বিষয়ে মন্তব্য করেনি। মালি এবং আফ্রিকার অন্যান্য অংশে তাদের কার্যক্রম গোপনীয়তায় আবৃত।
মালিতে ফ্রান্সের দীর্ঘস্থায়ী সম্পৃক্ততার বিষয়ে মালিয়ানদের আপত্তির পর মিনুসমার বিষয়ে মন্ত্রী ডিওপের এই সমালোচনা এলো। প্রাক্তন ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে জোট গত বছর ভেঙে যায়।
ডিওপ ‘মালিয়ান কর্তৃপক্ষ এবং মিনুসমার মধ্যে আস্থার সংকট’ সম্পর্কে কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘মালিয়ান সরকার মিনুসমাকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে বলেছে’।
মিনুসমার ম্যান্ডেট ২৯ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, তবে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সুপারিশ করেছেন যে কয়েকটি সীমিত অগ্রাধিকারের উপর ফোকাস করার জন্য মিশনটিকে পুনর্গঠন করা হবে।
জাতিসংঘ বর্তমানে চাদ, বাংলাদেশ এবং মিশরের সামরিক দলকে বাহিনীতে বৃহত্তম অংশগ্রহণকারী হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে।
মালিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এল-ঘাসিম ওয়ানেকে ডিওপের মন্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘(নিরাপত্তা) কাউন্সিল যে সিদ্ধান্তই নেবে আমরা তার দ্বারা পরিচালিত হবো’।
তবে তিনি যোগ করেছেন, আয়োজক দেশের সম্মতি ছাড়া ‘একটি নির্দিষ্ট দেশে কাজ করা অসম্ভব না হলেও অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে’।
গত বছরের মার্চে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের একটি প্রতিবেদনে, মধ্য মালির মৌরা গ্রামে অভিযানের সময় মালিয়ান সশস্ত্র বাহিনী এবং ‘বিদেশী নিরাপত্তা কর্মীদের’ বিরুদ্ধে ৫০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যায় অভিযোগ করা হয়েছে। মালি এবং রাশিয়া উভয় সরকারই এই প্রতিবেদনের নিন্দা করেছে।