1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
দাদির কোল থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে হত্যা - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

দাদির কোল থেকে ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে হত্যা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পাঁচ বছরের শিশু ইয়ামিন শেখ। সোমবার রাতে কাকা ও দাদার সঙ্গে ফুপু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ফেরে। দরিদ্র রিকশাচালক বাবার ঘরে কক্ষ সংকট থাকায় বারান্দায় দরজাবিহীন ছোট একটি কক্ষে দাদা-দাদি ও তার ছয় বছর বয়সী বড় বোন সিনথিয়ার সঙ্গে রাত ১১টার দিকে ঘুমাতে যায়। এই ঘুমই তাঁর জীবনের শেষ ঘুম হয়ে দাঁড়াল। দাদা-দাদির কোল থেকে দুর্বৃত্তরা ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে তুলে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে পাশের পাটক্ষেতে পাওয়া যায় উলঙ্গ মরদেহ।

ঘটনাটি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির জামালপুর ইউনিয়নের গোসাই গোবিন্দপুর গ্রামের। নিহত ইয়ামিন ওই গ্রামের মো. নাসির শেখের সন্তান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।

ঘনটাস্থল পরিদর্শন করেছেন বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান ও জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিশু ইয়ামিনের ফুপা মো. শহিদুল শেখ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ইয়ামিন ও তাঁর দাদা মহিদ শেখ এবং কাকা আমজাদ শেখ তাঁর বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কাদিরদিতে বেড়াতে যান। রাতের খাবার খেয়ে তাঁরা আবার বাড়িতে ফিরে যায়। রাতে ইয়ামিন তাঁর দাদা, দাদী ও বোনের সঙ্গে ঘরের বারান্দায় শুয়ে ছিল। ইয়ামিন ও তাঁর বোন সিনথিয়া মাঝে শুয়েছিল। রাতে কখন কে বা কারা ঘুমন্ত ইয়ামিনকে তুলে নিয়ে যায়। সকালে স্থানীয় আব্দুর রব নামের এক ব্যক্তি পাটক্ষেতে ইয়ামিনের মরদেহ দেখতে পান।

ইয়ামিনের মা বিথী আক্তার বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে হঠাৎ আমার শ্বশুর-শাশুড়ি চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় আমাদের। তারা কান্না করে বলতে থাকেন- ইয়ামিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জানালে তারা ছুটে আসেন। রাতেই মসজিদের মাইকে বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়।’

স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার দিকে মসজিদের মাইকের ঘোষণা শুনে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। গ্রামবাসী তখনই চারপাশ ঘিরে ফেলে। কিন্তু রাতে ইয়ামিনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সকালে পাশের একটি পাটক্ষেতে তাঁর উলঙ্গ মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

ইয়ামিনের দাদা মহিদ শেখ বলেন, ‘কারা এ কাজ করেছে জানি না। কখন যে আমার দাদু ভাইকে বুক থেকে কেড়ে নিয়ে যায় বুঝতেও পারি নাই।’

জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদ হোসেন বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি একেবারেই নিকৃষ্টতম। ইয়ামিনের বাবা ফরিদপুরে রিকশা চালান, সেখানেই থাকেন। কোন উদ্দেশ্যে শিশুটিকে হত্যা করা হলো তা বোধগম্য নয়।’

বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুত্বসহ বিষয়টি দেখা হচ্ছে। তদন্তপূর্বক দ্রতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (রাত ১:২৭)
  • ৬ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৭শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
359
3445684
Total Visitors