যশোর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগরে ১৭৬০ ডিএপি সার আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নওয়াপাড়া পৌরসভার চেঙ্গুটিয়া থেকে সার বোঝাই ৫ টি ট্রাক আটক করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত সারের ডিও ও অন্যান্য কাগজপত্র দেখে সন্দেহ হলে সার বোঝায় ট্রাক পাঁচটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, নওয়াপাড়া ৪ নং ঘাট থেকে সারগুলো বোঝায় করে ঝালকাঠি ও বরিশাল যাওয়ার কথা ছিল তবে সারগুলো কুষ্টিয়া , রাজবাড়ি ও নাটোরে নেয়া হচ্ছিল।
জালিয়াতির মাধ্যমে বরিশালের উজিরপুরের তানিয়া এন্টারপ্রাইজের ৪৪০ বস্তা সার নিয়ে যাচ্ছিলো কুষ্টিয়া ভেড়ামারার জুয়েল ট্রেডার্স ,ঝালকাঠি সদরের বিসমিল্লাহ্ স্টোরের ৪২০ বস্তা সার নিয়ে যাচ্ছিলো রাজবাড়ি সদরের রাজ্জাক ট্রেডার্স । নাটোরের সিংড়া উপজেলার মেসার্স আবু বক্কর সিদ্দিক নিয়ে যাচ্ছিলো ঝালকাঠি সদরের বন্ধন ট্রেডার্সের ৪৫০ বস্তা ও রাজশাহীর দূর্গাপূরের এসএস এন্টার প্রাইজের ৪৩০ বস্তা, এই প্রতিষ্ঠানের আরও ২০ বস্তা ডিএপি সার একই ট্রাকে নিয়ে যাচ্ছিলো নাটোরের সিংড়া উপজেলার আশুতোষ কুমার সাহা।
প্রকৃত ডিলারদের সার সরবরাহের তারিখ (ডিও) ছিলো ১৫ ই জানুয়ারি । কালোবাজারীর সাথে জড়িত যে ডিলাররা সার নিয়ে যাচ্ছিলো তাদের ডিস্ট্রিবিউশন ওর্ডার (ডিও) ছিলো ৮ থেকে ১২ জানুয়ারি । তবে তাদের বরাদ্দ ছিল কিনা এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য নেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে। তারা যে কাগজ দেখিয়ে সার নিয়ে যাচ্ছিলো তা প্রাথমিক ভাবে নকল বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।
অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সরকারী বরাদ্দের পাঁচ ট্রাক ডিএপি সার আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। পাঁচ গাড়িতে মোট ১৭৬০ বস্তা সার পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে জালিয়াতির সতত্যা মিলেছে ।তদন্ত শুরু হয়েছে – দোষী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply