নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরতলীর শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার মাদ্রাসার ছাত্র কিশোর নাহিদ হাসান হত্যা মামলায় দুই কিশোরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তনন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জয় বালা।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, শহরের পূর্ববারান্দী নাথপাড়ার জিসান উদ্দিন অন্তর ও ইব্রাহিম হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নাহিদ হাসান লেখাপাড়ার পাশাপাশি বড় ভাইয়ের মোটরসাইকেল পার্সের দোকানে কাজ করত। গত ৩১ মার্চ নাহিদকে নিয়ে তার পিতা ইফতারে বসেন। এ সময় নাফিদ ফোন পেয়ে পূর্ববারান্দী নাথপাড়ার বায়তুস সালাত মসজিদে ইফতারের দাওয়াত আছে বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। তারবির নামাজের সময় দুই জন তাদের বাড়িতে যেয়ে জানায় নাহিদকে ছুরিকাঘাত করেছে। স্বজনের এ সংবাদের ভিত্তিতে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে এসে নাহিদকে মৃত অবস্থায় পায়। পরদিন এঘটনায় নিহত নাহিদের পিতা রেজাউল ইসলাম বাচ্চু দুইজনের নাম উল্লেখসহ অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ইফতারের পর আসামিদের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নহিদ ও তার বন্ধুদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিষয়টি অন্তর মার চাচাত ভাই ইব্রাহিমকে জানিয়ে নাহিদ ও তার বন্ধুদের সায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। আংশিক তারাবির নামাজ পড়ে বের হয় নাহিদ ও তার বন্ধুরা। এরমধ্যে অন্তর ও ইব্রাহিম কথা আছে বলে অন্যদের সরিয়ে দিয়ে নহিদকে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে নাহিদকে ছুরিকাঘাতে জখম করে অন্তর ও ইব্রাহিম। নাহিরেদ চিৎকারে তার বন্ধুরা এগিয়ে আসলে অন্তর ও ইব্রাহিম পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষিদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক দেখানো হয়েছে।