যশোর প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর বাড়ির সামনে যেয়ে তাকে গালিগালাজ করা ও হত্যার হুমকির মামলায় তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী।
অভিযুক্তরা হলেন শহরের কাজীপাড়ার তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, লোনঅফিস পাড়ার আশিকুল ইসলাম বাধন, কাজীপাড়া তেতুলতলার রওশন ইকবাল শাহী, কাঁঠালতলার বাবুল গাজী, বটতলার মোফাজ্জেল হোসেন তাপস, মানিকতলার নুরনবী ও রেলগেট তেঁতুলতলার ফাহমিদ হুদা বিজয়।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, বাদী মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তারা একই রাজনৈতিক দলের মতাদর্শী। আসামিদের সাথে চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর পূর্ব বিরোধ ছিল। আসামি ফন্টু চাকলাদার সদরের নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর দিঘী লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন। মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর এ দিঘীর লিজের মেয়াদ শেষ হয়। দিঘীটি নতুন লিজ দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দিঘীর লিজ পান চেয়ারম্যানের লোকজন। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে ২০২২ সালের ২৭ জুন গভীর রাতে আসামিরা চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর বাসার সামনে যেয়ে তাকে গালিগালাজ ও দিবালোকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি দেন।
উক্ত ঘটনায় ২৮ জুন চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জিমা দেন।