সালাহ্উদ্দীন সাগর : যশোরের চৌগাছার হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গঠিত এই নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ওই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুজ্জোহা শিপু।
অভিযোগসুত্রে জানা যায়, হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট ও শুন্যপদে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক, একজন অফিস সহায়ক, একজন আয়া ও একজন নৈশ প্রহরী নিয়োগের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্রার্থীদের আবেদনের পরেও ডিসেম্বর মাসের গত ৮ তারিখে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তৈমুর রহমান খান ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন অভিভাবক ও জনসাধারনের সমন্বয়ে ৬জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দিলে এ নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করে দেন যশোর জেলা প্রশাসক। এদিকে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ ডিসেম্বরের আগামী ২৭ তারিখে উত্তীর্ণ হবে। তাই চাকরী দেওয়ার নাম করে ক্ষমতায় থেকেই বিশাল এক অর্থবানিজ্যের পায়তারা চালাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। অভিযোগে নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে সঠিক তদন্তের আগে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত রাখার দাবি জানান অভিভাবক সদস্য ও ইউপি সদস্য শামসুজ্জোহা শিপু।
হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, “যিনি নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের জন্য আবেদন করেছেন উনি ম্যানেজিং কমিটির কেউ না। নতুন যে কমিটি হবে সেখানে সদস্য পদের জন্য উনি প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন। সেক্ষেত্রে উনি নিয়োগ বোর্ড স্থগিতের আবেদন করতে পারেন না।” তিনি বলেন, “এর আগে জেলা প্রশাসক মহোদয় এই নিয়োগ বোর্ডের যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন সেটা গত পরশুদিন (মঙ্গলবার) তিনি খারিজ করেছেন। তাই শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) যশোর জিলা স্কুলে সকাল নয়টায় নিয়োগ বোর্ড বসবে।
বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক মশিয়ার রহমান নামে এক শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য তদবীর প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোন বাণিজ্য হচ্ছেনা। নিয়োগের পর খুশি হয়ে যে যা দিবে তা বিদ্যালয়ের কল্যাণ তহবীলে জমা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, “আমি তো একজন নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মাত্র। আমাকে যদি ডাকে, তাহলে যাব।”
চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুস্মিতা সাহা বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।