1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব অবশেষে সার চোর !? - চ্যানেল দুর্জয়
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব অবশেষে সার চোর !?

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪

যশোর প্রতিনিধি: যশোরে হামিদপুরের একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ বিএডিসির এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার বিক্রয়েরে সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে সারবহনকারী নসিমন। এ ঘটনায় হৈচৈ শুরু হলে জানা যায় সারগুলি গরীব কৃষকদের বিনামূল্যে প্রদানের জন্য সরকারী প্রনোদনার সার, যা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব বিক্রয় করে দিচ্ছিলেন। স্থানীয় জনতা সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করে এবং আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি নেয়।

হামিদপুর ও ফতেপুর এলাকার একাধিক সূত্র থেকে তথ্য এসেছে, রোববার এদিন সন্ধ্যায় এলাকার নসিমন চালক সাইফার আলী ২০ বস্তা সরকারি এমওপি (মিউরেট অব পটাশ) সার নিয়ে বাজারের নয়ন এন্টারপ্রাইজে আসেন। সার, সিমেন্ট ও কীটনাশক বিক্রেতা শাহাব উদ্দিন আহম্মেদের দোকানে ওই সার পৌঁছালে স্থানীয় কৃষক-জনতা খবর পেয়ে দোকান ঘেরাও করে। ঘণ্টা খানেক কৃষকরা ওই দোকানের সামনে হট্টোগোল করে। পরে স্থানীয় চানপাড়া ফাঁড়ি ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

স্থানীয় কৃষক রমজান আলী জানিয়েছেন, চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তার একটি গুদামে ওই এমওপি সার গোপনে রেখে দিয়েছিলেন। রোববার একটি নসিমনযোগে ওই সার নয়ন এন্টারপ্রাইজে পাঠান বিক্রি করতে। এর কিছুদিন আগে কৃষকদের মধ্যে ওই সারের একটি অংশ বিতরন করা হয়। অনেক কার্ডের অনুকুলে সার না দিয়ে প্রতারণা করে আত্মসাৎ করে বিক্রি করেছে। তা রোববার সন্ধ্যায় ধরা পড়েছে।

এদিকে, রাতে স্থানীয় কয়েকজন যুবলীগ নেতা জানিয়েছেন, এটা কৃষি প্রণোদনার সার। বিনামূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার জন্য। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন তা আত্মসাৎ করে বিক্রি করেন নয়ন এন্টারপ্রাইজের কাছে। এলাকার নসিমন চালক ও সার বহনকারী সাইফার আলী এবং দোকানি তাদের কাছে চেয়ারম্যানের সার বলে স্বীকারও করেছেন।

পুলিশ ও জনতার হেফাজতে নসিমন চালক সাইফার জানিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যানের গুদাম থেকে ওই ২০ বস্তা সার এনেছেন নয়ন এন্টারপ্রাইজে। চেয়ারম্যানের গুদামে আরও সার আছে।

এদিকে, ঘটনাস্থলে যাওয়া যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) পলাশ কুমার জানিয়েছেন, ‘এটা বিএডিসির বস্তায় সরকারি সার। স্থানীয় জনতার সন্দেহ ওটা কৃষকদের জন্য সরকারি বরাদ্দের সার। আর জনতার অভিযোগে তিনিসহ পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে যান। বিএডিসির সরকারি সার হওয়ায় এখনো সব ঘটনা পরিস্কার হতে পারেননি। ঘটনাস্থলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসবেন। তিনি আসলেই সব পরিস্কার হবে।’

এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাবকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফোনও রিসিভ করছেন না তিনি।

এ রিপোট লেখা রাত সাড়ে ৯টায় সার উদ্ধার ঘটনাস্থল হামিদপুরের নয়ন এন্টারপ্রাইজের সামনে জনতা, পুলিশ ও মিডিয়া কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। আসলেই চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সরকারি এই এমওপি সারের সাথে সম্পৃক্ত কিনা তা নিয়ে চলছিল নানামুখি গুঞ্জন। আর জড়িত হলে তিনি আটক হবেন কিনা এনিয়ে চলছিল শোরগোল।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • সোমবার (সন্ধ্যা ৬:১৮)
  • ২৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২০শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
316
3286771
Total Visitors