মাগুরা প্রতিনিধি: মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়েও দেখতে যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় মাগুরার মহাম্মদপুরে ফাতেমা নামের নববধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে । তবে এটি হত্যাকাণ্ড না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে মহাম্মদপুর থানা পুলিশ ।
নিহত ফাতেমা (২০) ঢাকার আমিন বাজার এলাকার নবীর হোসেনের মেয়ে।গত পাঁচমাস আগে ফেসবুক সূত্রে মাগুরার মহাম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের যশপুর গ্রামের জিয়াউর সরদারের ছেলে আলি হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়।
প্রতিবেশিরা জানায়, আলি হোসেন প্রায় ১২ বছর আগে কাজের সূত্রে মালয়েশিয়া যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ফাতেমার সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের এক মাসের মাথায় মেয়েটি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে মাগুরায় শ্বশুর বাড়িতে এসে ওঠে। তারপর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই ছিল ফাতেমা। সেখানে সকলের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকলেও বিয়ের পরও দেশে ফেরেনি স্বামী আলি হোসেন । যা নিয়ে ফাতেমা মানসিক কষ্টের মধ্যে ছিল। এরই মধ্যে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে যেতে ঢাকায় যেতে চাইলেও শ্বশুরবাড়ি থেকে যাবার অনুমতি না দেওয়ায় ফাতেমা রবিবার ১০ টার দিকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস নেয়। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাকে মহাম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মহাম্মদপুর থানার ওসি বোরহান উল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।