সহিব চিরন্তন দুঃখ জ্বালা তোমার কান্তি দেখিয়া
কহিব কাহারে তোমার কথা আলেখ্য যে বসুমতি জুড়িয়া।
দেখিবার কেহ কি নাই সংসারে?
কত মর্মজ্বালা বাদানুবাদ করে সুখের সাথে
আহারে দিবস রজনী জুড়িয়া।
হায়রে করতোয়া, হায়রে যমুনা
কত কবি লিখিলো কবিতা
কত রমনি করিলো স্নান।
হতভাগা হায়রে আমি পেলাম না তৃষার জল।
কত রঙ্গণ, কত রোদন,
কত আকাঙ্খা, কত কথন-স্বীয়চিন্তা।
তবু না মিটিলো পিয়াস কবির- হইলোনা কারো অনুকম্পা।
কত সাধনা সন্ধি করে নিশীথের সাথে
হায়রে শুধু বয়স বাড়ে নষ্ট কষ্টের একটি কবিতার কুঁসুম নাহি ফোঁটে।
অদৃষ্টে যার খোঁদাই করা সবিতার নিষেধাজ্ঞা
তার ভূবনে চাঁদ কি আসে সহসা দীপ্তি লইয়া?
জানিতাম যদি,
কত কিংবদন্তির মালা সপিলে ভরিবে তাহার চিত্ত
নির্ঝরিণী, রত্নগর্ভ সব অস্বীকার করে ছিনিয়া আনিতাম পূণ্যলোক হইতে অরণ্য,রক্তকুমুদ
আর রাশি রাশি যুদ্ধ।
যমের সাথে যুদ্ধ, আমৃত্যু যুদ্ধ
যে যুদ্ধে তনু অন্তে চিত্ত বাঁচে।
যে চিত্তে সে বাঁচে, অনন্তকাল বাঁচে,
মৃত্যুর পাঁজরে পাঁজরে বাঁচে।
রাত ১:২৮ || ২৮ অক্টোবর ২০১৮
যশোর।