ভোলার দৌলতখান উপজেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিতরা। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে ভোলা শহরে জেলা ছাত্রদলের কার্যালয়ের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রদল নেতা মো. আব্বাস উদ্দিন। এ সময় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে পদবঞ্চিতরা অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর গত ১৮ আগস্ট দৌলতখান উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রদল। কিন্তু নবগঠিত এই আহ্বায়ক কমিটিতে ছাত্রদলের নীতিমালা ভঙ্গ করে নেশাগ্রস্ত, বিবাহিত, ছাত্রলীগ সম্পৃক্ত ও আত্মীয়দের পদ দেওয়া হয়েছে। যা দেখে আমরা দৌলতখান উপজেলা ছাত্রদলের কর্মীরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। কারণ ওই কমিটিতে যোগ্য এবং ত্যাগী কর্মীদের রাখা হয়নি। এমনকি সরকার বিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে সক্রিয় থেকে হামলা-মামলা জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে তাদের কাউকেই রাখা হয়নি। বরং যাদের দিয়ে কমিটি সাজানো হয়েছে তাদের অনেকেই ওয়ার্ড পর্যায়ে ছাত্রদল করার যোগ্যতা রাখে না।’
তারা আরও বলেন, ‘নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মির্জা মনিরুল ইসলাম একজন নেশাগ্রস্ত, এক নং যুগ্ম আহ্বায়ক জাফরউল্লাহ দক্ষিণ জয়নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে এখনও জড়িত, ২ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ চাকরিজীবী।’
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কালা জহির আত্মীয়করণ ও টাকা নিয়ে এ কমিটি জমা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। বিতর্কিত এ কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। পরে তারা নবগঠিত কমিটির তালিকা ছিঁড়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ২১ সদস্যকে দৌলতখানে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন– মো. নাহিদুল ইসলাম, মো. মামুন অর রশিদ, মো. সোহান, মো. সনজিব মৃধা, মো. মিঠু, মো. সজিবসহ শতাধিক নেতাকর্মী।