দূর্জয় ন্যাশনাল ডেস্ক : আবারও নোট অব ডিসেন্ট নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের। এবার ভিন্নমত পোষণ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী এবং স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা আইনের।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সভার বৈঠকের সোমবারের (২৪ আগস্ট) আলোচ্যসূচি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের সংশোধনী ও স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচন পরিচালনা আইন। যার তিনটি বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালকুদার। দেন নোট অব ডিসেন্ট।
গণমাধ্যম পাঠানো এক চিঠিতে মাহবুব তালুকদার জানান, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ২০২০’ বিলের যে খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে; সেখানে বাদ পড়েছে ১১টি মৌলিক ও পদ্ধতিগত বিধান। তার মতে, সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৯১ ধারায় প্রার্থিতা বাতিলের সরাসরি ক্ষমতা যা নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত ছিলো, তার বিলোপ সাধন।
‘রকিবউদ্দীন কমিশন এটি বাতিলের উদ্যোগ নিয়ে চরম সমালোচনার মধ্যে পড়ে এবং পরে ওই উদ্যোগ থেকে সরে আসে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রার্থিতা সরাসরি বাতিলের একক ক্ষমতা থেকে সরে আসা নির্বাচন কমিশনের একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করি। এতে নির্বাচন কমিশন নখ-দন্তহীন বাঘ নয়, বিড়ালে পরিণত হবে।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ রহিতপূর্বক সংশোধনসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আইন ২০২০ প্রতিস্থাপনের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তারও বিরোধিতা করেন মাহবুব তালুকদার।
মাহবুব তালুকদারের মতে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাঠামো, মেয়াদাকাল পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। এমনকী স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদ ও পদবী পরিবর্তনও এখতিয়ার বহির্ভূত।
তিনি বলেন, ‘কেবল নির্বাচন পরিচালনার জন্য ভিন্ন আইন হতে পারে না, তা সার্বজনীন হবে। এতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো, মেয়াদকাল ইত্যাদি পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের কর্তব্য নয়। বিশেষ করে, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পদ ও পদবী পরিবর্তন নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়। এই সংস্কার কার্যক্রম নিতান্তই স্থানীয় সরকারের বিষয়।’
নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর সভা শেষে জানান, এসব বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।