1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
নড়াইলে কুরআন তেলাওয়াতরত বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা। - চ্যানেল দুর্জয়
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন

নড়াইলে কুরআন তেলাওয়াতরত বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা।

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২০

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ পুলিশ জানিয়েছে , রাজ্জাক মল্লিক সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পূর্ব পাশের ঘরে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি জায়নামাজে বসে কোরআন পড়ছিলেন। তার স্ত্রী পাশের বাড়ি পানি আনতে গেলে ওই সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে তাঁকে। নড়াইলের কামাল প্রতাপগ্রামের রাজ্জাক মল্লিক (৭৫) হত্যা ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়নি। সোমবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর জায়নামাজে বসে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় অবস্থায় ওই বৃদ্ধ খুন হন। তিনি সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামালপ্রতাপ গ্রামের বাসিন্দা ও বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

রাজ্জাক মল্লিকের ছোট ছেলে রফিকুল বলেন, আমাদের এখানে তিন গ্রাম নিয়ে দলাদলি আছে, আমার বাবা এলাকার মুরব্বি হওয়ায় তার কথা একটি গ্রুপের লোকজন শুনতো, সেই কারণে এলাকায় একটি হত্যা ঘটনায় আমাদের বাড়ী ভাঙচুর চালায় অপর গ্রুপ,পরে ঐ হত্যা মামলায় আমাদের আসামী করে। তারাই আমার বাবাকে আমার ছোট ছেলের সামনে কোরআন শরীফ পড়া অবস্থায় জায়নামাজের ওপর খুন করেছে, আমার ছেলে ছোট হলেও সে কয়েকজনকে চিনেছে, নাম এখন বলবো না, মামলায় এজহারে সব জানতে পারবেন। আমরা আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।

রাজ্জাক মল্লিকের স্ত্রী হাসনাহেনা (৬২) বলেন, আমার স্বামী নামাজ পড়ার পর প্রতিদিন কোরআন শরীফ পড়ে থাকেন। কোরআন শরীফ পড়াকালে তার গলা শুকিয়ে যায়। আমি তার জন্য প্রতিবেশি গিয়াসের বাড়ি থেকে পানি আনতে যাই। কিছু সময় পর আমার পুতা ছেলে এশারক (৬) দৌড়ে এস বলে, “দাদাকে কারা যেন কুপায়ে মেরে ফেলতিছে । চিৎকার করতে করতে ঘরে গিয়ে দেখি সব শেষ। আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে। তিনি দাবি করেন, “আমাগে শত্রুরাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলিছে। গ্রামে দলাদলির কারণে আমার দুই ছেলেই বাড়ি ছাড়া, গ্রামে একটা মার্ডারের পর আমার বাড়ীঘর সব ভেঙ্গে ফেলেছে, ছেলেদের নামে মামলা দিয়েছে, তাই তারা লোহাগড়ায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। তারাই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে, আমি স্বামী হ*ত্যার বি’চার চাই।

জানা গেছে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের রসিদ মল্লিকের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় নিয়ে গেছে। এখনো পুলিশ হেফা*জতে রয়েছে তারা।

এ ব্যাপরে সদর থানার ওসি মোঃ ইলিয়াছ হোসেন জানান, হত্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্জাক মল্লিকের বড় ছেলে রবিউল মল্লিক, কামলা প্রতাপ গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং আমাদা গ্রামের অহিদার খানের ছেলে নাইচ খানকে থানায় আনা হয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাবে না।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (রাত ৪:০৬)
  • ১৯শে মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১১ই জিলকদ ১৪৪৫ হিজরি
  • ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
143
3830769
Total Visitors