উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কালিয়ার কলাবাড়িয়া গ্রামে গত দু’দিনে বিবাদমান আ’লীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় দু’জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামসহ তিন গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ নেতা মাহামুদুল হাসান কায়েসের সমর্থক সবর ফকির-আবেদ শেখ গ্রুপ এবং একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাইউম-হাসনাত গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২৬ মে রাতে প্রতিপক্ষে হাতে দলনেতা কাইউম শিকদার নিহত হয়। তার আগে গত বছর দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সবর ফকির-আবেদ শেখ গ্রুপের আবেদের ভাই কটাই শেখ খুন হয়। চলমান স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে নিহত কাইউমের ভাই তুহীন শিকদারসহ ৫/৬ জন কাইউম হত্যা মামলার আসামী কলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত শুকুর শেখের ছেলে চুন্নু শেখকে (৪৫) কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করলে দু’গ্রুপের মধ্যে নতুন করে উত্তে*জনা ছড়িয়ে পড়ে।
তারই জের ধরে শনিবার সকাল ১০টার দিকে হাসনাত গ্রুপের সমর্থক ও কটাই হত্যা মামলার আসামী একই গ্রামের সিরাজ শেখের ছেলে কামরুল শেখকে (৫০) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পা’ল্টাপা’ল্টি হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই তিন গ্রামজুড়ে আতংক ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয় নড়াগাতি থানর ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।’