স্টাফ রিপোর্টার।।
যশোরে আম্পানের আঘাতে নিহত হয়েছে ৪ জন, আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ।এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১১ জন।আম্পানের কারনে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি, দোকান-পাট,রাস্তা-ঘাটের ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হযেছে। দীর্ঘস্থায়ী ৫ ঘন্টা ঝড় এর আগে যশোর জেলা দিয়ে কখনো বয়ে যায়নি বলে জানা গেছে।
নিহতরা হলো, যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী ক্ষান্ত বেগম(৪৫) ও মেয়ে রাবেয়া খাতুন (১৩), শার্শা উপজেলার বাআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের আব্দুর গফুর মোড়লের ছেলে মুক্তার আলী (৬৫). সদর উপজেলার বাউলিয়া নুড়িতলা গ্রামের এক নারী (৪৫)। তিনি এলাকায় মিঠুর মা নামে পরিচিত।
যশোর সেনানিবাসের আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার(২০ মে) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে শুরু হয় আম্পানের প্রভাবে ঝড় ও বৃষ্টি। রাত ১০টা থেকে এর তীব্রতা বাড়তে থাকে। ১০টায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ছিল ১০৪ কিলোমিটার, রাত ১২টায় তীব্রতা বেড়ে হয় ১৩৫ কিলোমিটার। রাত পৌনে ২ টায় ঝড়ের গতিবেগ কিছুটা স্থিমিত হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালেও ঝড়ো হাওয়ার সাথে ছিল মৃদু বৃষ্টি।
জেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, ঝড়ের আগে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারলেও সবজি ও আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান,, যশোরে ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। তবে ঘর বাড়ি গাছ ভেঙে মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।