পটুয়াখালীতে যৌতুক হিসেবে শাশুড়ির পেনশনের ১০ লাখ টাকা না দেয়ায় স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রফিকুল ইসলাম জুয়েলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার গভীর রাতে পটুয়াখালী শহরের চরপাড়া এলাকায় স্বামীর ঘরে এ ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী মেহেরিন সুলতানা দুলারীকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত দুলারীর মা সাবেক স্কুল শিক্ষিকা জেবুন নাহার বাদি হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, দুলারীর সাথে ২০০৩ সালে চরপাড়া এলাকা নিবাসী মো. সুলতান মৃধার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম জুয়েলের শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়। এরপর দুলারীর পরিবারের পক্ষ থেকে জুয়েলকে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাইয়ে দেয়া হয়। তখন থেকেই দুলারী শহরের লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেয়।
বাদি মামলার বিবরণে উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসরে গেলে তার পেনশনের টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন জামাই জুয়েল। জমি কেনার কথা বলে জুয়েল তখন থেকেই নানা রকমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। এরপর প্রায়ই দুলারীকে যৌতুকের ওই টাকা আদায়ের জন্য মারধর করতো। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার আপোস মীমাংসা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। গত মঙ্গলবার রাতে যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দেয়ার দাবি জানায় জুয়েল। তখন ওই পরিমাণ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী জুয়েল লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে দুলারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার মাথার উপর আঘাত করলে দুলারী রক্তাক্ত জখম হলে গুরুতর অবস্থায় তাকে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকতার মোর্শেদ জানান, মামলা রুজুর পর আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।