মহাশূণ্যে ১৯৬ দিন অবস্থান শেষে পৃথিবীতে নিরাপদে ফিরলেন আমেরিকান নভোচারি ক্রিস ক্যাসিডি ও রাশিয়ার মহাকাশচারী ইভানিশিন ও ইভান ভাগনার। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) কাজাখাস্তানের কাজাখ শহর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব অংশে তারা অবতরণ করেন। রাশিয়ার মহাশূণ্য সংস্থা রসকমোস তাদের অবতরণের ভিডিও প্রকাশ করে। খবর আল জাজিরার। গত এপ্রিলে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই যখন করোনা নিয়ে ধোঁয়াশা এবং লকডাউনের আবদ্ধ ছিলেন, এমন সময়ে এই নভোচারিরা মহাশূণ্যের স্পেস স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
মহাশূণ্যে ভ্রমণ কেমন ছিল? এ প্রশ্নের উত্তরে হেসে দেন নভোচারি ক্রিস ক্যাসিডি। রাশিয়ার নভোচারি ইভানিশিন ২০১২ সাল থেকে প্রতিনিয়তই মহাশূণ্যে যাত্রা করে থাকেন। আর ইভান ভাগনারের এটাই ছিল প্রথম অভিযান। ৫০ বছর বয়সী আমেরিকার নভোচারি ক্যাসিডি পৃথিবীতে অবতরণের কিছুক্ষণ আগে মহাশূণ্যে অবস্থানকালীন রক্তের ছবি টুইট করেন। আর মহাশূণ্যের অবস্থান জানানোর জন্য এসব রক্তের ছবিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়। মহাশূণ্যে অভিযানের ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত উদ্যোগের দৃষ্টান্ত খুবই বিরল। নভোচারিরা মহাশূণ্যের স্পেস স্টেশনে অবস্থানকালীন অক্সিজেন, টয়লেট ও রান্না নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছিল। তবে রাশিয়ার মহাশূণ্য সংস্থা জানিয়েছে, এর কিছুই পরবর্তীতে সমাধান হয়েছে। তারা দাবি করেছে, সব কিছুই ভালোভাবে কাজ করছে। সেখানে ভয়ের কিছুই নেই।