স্টাফ রিপোর্টার।। যশোর চুড়ামনকাঠি ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম বাবুকে (৩৪) হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে জখম করা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না তার ভাই আব্দুল হান্নান ও পুত্র আঃ আওয়ালসহ ৮ জনের নামে মামলা হয়েছে। আহত সাইফুল চুড়ামনকাঠি শ্যামনগর গ্রামের মৃত মহিউদ্দিনের ছেলে। সাইফুলের ছোট ভাই সাইদুর রহমান (২৯) বাদি হয়ে শনিবার ১৪ নভেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হচ্ছে ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে চুড়ামনকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান আঃ মান্নান মুন্না (৫০) চুড়ামনকাঠি রেলস্টেশনের পাশে হটাৎপাড়ার পিতা অজ্ঞাত আসলাম হোসেন (৪০) ছাতিয়ানতলার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪৫) ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪০) শ্যামনগর গ্রামের আঃ মুজিদের ছেলে আমিনুর রহমান (৩৪) শ্যামনগর গ্রামের মৃত আঃ কাদেরের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪৫) ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুল মান্নান মুন্নার ছেলে আব্দুল আওয়াল (২৮) চুড়ামনকাঠি গ্রামের মৃত আশকার কবিরাজের ছেলে ইছাহক আলীসহ (৫৫) অজ্ঞাত নামা ৭/৮ জন।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেছেন, আসামিরা অবৈধ অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী । আমার ভাই সাইফুল একজন যুবলীগ কর্মী। এলাকায় রাজনৈতিক মত পার্থক্যের কারণে ১ নং বিবাদি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার নেতৃত্বে সহযোগী আসামিরা আমাকে ও আমার ভাইকে মারপিট ও খুন জখম করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ১১ নভেম্বর যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এমপি নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিলন সাহেবের গরীবশাহ মাজারের পাশে সমাবেশে যোগদান করি। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ভাইকে মারপিট খুন জখম করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ১২ নভেম্বর আমার ভাই সাইফুল শ্যামনগর বেলতলা বাজারে তার নিজ মুদি দোকানে অবস্থান করছিলো। এ সময় পূর্বশত্রুতার কারণে আসামিরা বেআইনি ভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো দা, হকিস্ট্রিক, লোহার রড, বাশের লাঠি নিয়ে আমার ভাইয়ের দোকানে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে টানতে টানতে দোকানের বাইরে নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এক নং আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আমার ভাই সাইফুল ইসলাম বাবুকে খুন করার উদ্দেশ্যে বাম চোখের নীচে চোয়ালে কোপ মেরে গুরুত্বর রক্তাত্ত জখম করে। অন্য আসামিরাও লোহার রড, হকিস্ট্রিক, বাশের লাঠি দিয়ে আমার ভাইয়ের বুকে পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। ৭ নং আসামি আব্দুল আওয়াল ও ৮ নং আসামি ইছাহক আলী দোকানের মধ্যে ঢুকে ক্যাশ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা চুরি করে নেয়। আমার ভাইয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা হত্যার হুমকি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।