তুমি আমার হওনি আপন খুজিনি আপত্তি
দূর থেকে দেখেছি সুখ-ফুলেল বাসর সেটাই বা কম কি?
নাইবা হলাম তােমার পতি,বন্ধুতাে একদিন হয়েছি।
আপন ভেবে নাইবা স্মরিলে,পর ও তাে করােনি।
সুখ সবই কাঁড়িলে আমার, একাকিত্বের শান্তিতে বিঘ্ন ঘটালে
বলাে আর কি চাও তুমি?
জীবন আছে জরাজীর্ণ নিবে কি তুমি!!?
চাইলেই দেবাে প্রাণটি তােমাই,হাসি টি যে ম্লান করিনি।
এসাে তুমি হর্ষ চিত্তে,পূর্ণ করাে সকল বাসনা
আমার ইহ জনম দিয়ে।
দেহাব শেষে রচিব কবর তােমার চরণ তলে।
একটা মিনতি রাখাে আমার শেষ বিদায়ের কালে ।
সমাধির পাশ দিয়ে তুমি হাঁটবে যখন,তােমার চরণের বাতাসে
মিশ্রিত ধূলি কণা পরশ হয়ে ঝরবে তখন।
আমি সেই পরশে অনন্তকাল থাকবাে মাটির ঘরে।
থাকবেনা আর কোন চাওয়া পরজনমের তরে।
পড়ছাে যারা মাের কবিতা কৌতূহল ভরে
তাদের কাছে এই মিনতি শেষ নিদানের কালে ।
আমার সমাধি রচিবে তােমরা প্রিয়াদের গােরস্থানে।
প্রিয়ার আলােয় আলােকিত হবে আঁধার ঘর
কে বলে আর কবর তাকে নাম হবে বাঁসর।
কাব্য গ্রন্থ : বিরহী প্রহর