1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ক্ষুদ্র জীবনের প্রেরণা আসাদ স্যার- আমার প্রিয় শিক্ষক : বিদ্যুৎ। - চ্যানেল দুর্জয়
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন

ক্ষুদ্র জীবনের প্রেরণা আসাদ স্যার- আমার প্রিয় শিক্ষক : বিদ্যুৎ।

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০

খোলা জানালা ডেস্ক।। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে অর্থাৎ সেই প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনেক ভালো ভালো শিক্ষকের ছাত্র হতে পেরেছি। কিন্তু যদি সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে বলতে হয় তাহলে একজন শিক্ষকের কথায় আমি বলব। যিনি আমার এই ক্ষুদ্র জীবনের চলার পথে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা ও উৎসাহ জুগিয়েছেন। আমার সেই প্রিয় শিক্ষকের নাম মোঃ আসাদুজ্জামান। যশোর সদর উপজেলার নতুনহাট পাবলিক কলেজের ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের  প্রভাষক।

আসাদ স্যার নামে তিনি পরিচিত। তাঁর বিচক্ষণতাকে আবিষ্কার করার মতো অনেক শিক্ষার্থীই আছে। তবে যারা তাঁর সংস্পর্শে আসেনি তারা কি করে আবিষ্কার করতে পারবে স্যারের বিচক্ষণতা? সবাই না পারলেও আমার মতো তুচ্ছ এক ছাত্র লিখতে বসেছি উনাকে নিয়ে এবং উনার সামান্য গুণাগুণ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।  সাধাসিধে, আটপৌরে জীবনযাপনে অভ্যস্ত আমার প্রিয় শিক্ষক। স্বল্প বাক মানুষ। 
অত্যন্ত রুচিশীল পোশাক পরিধান করেন।
দীর্ঘদেহী আমাদের প্রিয় শিক্ষকের শিক্ষকতার স্টাইলটিও ছিল ভিন্ন। 

তিনি শুধু শিক্ষক হিসেবেই নন বরং শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অসামান্য অবদান রাখেন।কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতি তার স্নেহ-ভালবাসার কমতি নেই।তার সুন্দর আদর্শ ও বিচক্ষণতা দেখেছি ক্লাসের শুরুতেই। তিনি ক্লাসের শুরুতেই কিছু মজার মজার গল্প বলেন যেগুলো পড়ালেখার প্রতি সকলের আগ্রহ জন্মায়। পড়ার পাশাপাশি তিনি এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে। আমার মতে তাঁর প্রতিটি উপদেশ এক একটি মহাকাব্যের সমতুল্য। তিনি আমাদের আদবের শিক্ষা দেন, পাশাপাশি কার সাথে কিরূপ আচার-ব্যবহার করা উচিৎ সেই বিষয়েও শিক্ষা দিয়ে থাকেন।তাঁর প্রতিটি উপদেশ সাক্ষ্য দেয় তিনি কতটা বিচক্ষণতার অধিকারী।

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে যখন কলেজে উঠি পড়াশোনার চাপটাও খুব বেড়ে যায়। কলেজে উঠে পড়াশোনায় বেশ ফাঁকিবাজ হয়ে যাই। ঠিকমতো পড়াশোনা করতাম না। ফলে রেজাল্টও খারাপ হতে থাকল। সামনে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং এরপর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। আমার রেজাল্টের দুরবস্থার কথা শুনে স্যার একদিন আমাকে বোঝালেন এবং খুব উৎসাহ দিলেন। নিজের প্রিয় শিক্ষকের কাছ থেকে উৎসাহ পেলে সব ছাত্রেরই মনে একটা উদ্দীপনা জাগে। আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। আমি সেদিন থেকেই পড়াশোনায় মনোযোগী হই। সবচেয়ে আনন্দের কথা হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমি ভালো রেজাল্ট করি শুধুমাত্র স্যারের সেইদিনের কথাগুলো মেনে চলার কারণেই।

আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া। যা আমার জীবনের গতিপথটাই পাল্টে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ করে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল আসাদ স্যারের। যেদিন ভর্তির পরীক্ষার ফলাফল দেয় স্যার  আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। স্যার খুব খুশি হয়েছিলেন সেদিন। সেদিন ঠিকই বুঝতে পেরেছিলাম একজন ভালো শিক্ষকের গুরুত্ব কতখানি একজন সাধারণ ছাত্রের জন্য।

তাঁর প্রতি আমার অজস্র ভালাবাসা ও শ্রদ্ধা ভক্তি, সালাম রইলো। তাঁর সাথে আমার খুব অল্প সময়ের পরিচয় তবুও যতটুকু তাঁর কাছে শিক্ষা পেয়েছি ততটুকু লেখবার সাধ্য আমার হলো না।

লেখকঃ 
মোঃ মামুন হাসান বিদ্যুৎ
বিবিএ, এমবিএ (অধ্যায়নরত)
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (বিকাল ৩:৪৬)
  • ৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৬শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
270
3433986
Total Visitors