জুবায়ের আহমেদ।। হঠকারী সিদ্ধান্ত, সমন্বয়হীনতা এবং অবমূল্যায়নে আতঙ্কিত ও বিরক্ত হয়ে বিএনপির কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন দলটির অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দই। এবার সে পথেই হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। এমনকি বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
২২ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন আফরোজা আব্বাস।
মূলত, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর গুমের নেপথ্যে ‘দলের নেতারা জড়িত রয়েছেন,’ প্রকাশ্য সভায় এমন বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ওপর নাখোশ হয়েছে তার দল। আর এ কারণে অপমান করে কেউ বের করে দেবার আগে ইজ্জত বাঁচাতে আব্বাস পরিবার দল ছাড়তে চাচ্ছেন।
এদিকে, বিএনপির নীতি নির্ধারণী সূত্র জানায়, ওইদিনের ভার্চুয়াল সভার পর মির্জা আব্বাসকে দলের পক্ষ থেকে তিনটি ড্রাফট দেয়া হয় যা তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করবেন। সেখানে তাকে অনুতপ্ত হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মির্জা আব্বাস সংবাদ সম্মেলনে সেই তিনটি ড্রাফটের কোনো বক্তব্য দেননি। এরপর দলের হাইকমান্ড তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, মির্জা আব্বাস যদি দুঃখপ্রকাশ করতো, তবে হয়তো বিষয়টি বিবেচনা করা যেতো। কিন্তু তিনি হয়তো দুঃখপ্রকাশ করতে চাইছেন না। আর এ কারণে আমরা বাধ্য হচ্ছি তাকে দল থেকে সরিয়ে দিতে।
তবে আব্বাস পরিবার বলছে ভিন্ন কথা। তারা জানায় ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে নয়, স্বেচ্ছায় বিএনপি ছাড়তে চাইছেন তারা। মূলত বিএনপিতে যারা ত্যাগী, দুঃসময়ের সঙ্গী ছিলো তারা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন। এর ফলে মির্জা আব্বাস এবং তার স্ত্রী রাজনীতি করবেন কিনা তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্পষ্ট করবেন বলেও জানিয়েছেন আব্বাস দম্পতি।